‘২৫ লাখ টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দিয়াজের আত্মহত্যা’


প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী টেন্ডারের ২৫ লাখ টাকা চেকের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েই নিজ গ্রুপের কাছে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ।

মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর আত্মহত্যা ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু।

ছাত্রলীগের সভাপতি টিপু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দিয়াজ ইরফানের মৃত্যু পরবর্তী বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার ভগ্নিপতি সারোয়ার আলম ২৫ লাখ টাকা চেকের কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেই চেকের ভাগ নিয়ে মামুন ও নাজিম দিয়াজকে মারধর করে।

নিজ গ্রুপের হাতে মার খাওয়ার অপমান সইতে না পেরে দিয়াজ আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি।

দিয়াজের পরিবারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারা একের পর এক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যে অভিযোগ করে আসছে। যে অভিযোগ বলে বেড়াচ্ছে তা যাচাইয়ের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যরাই যথেষ্ট।  

দিয়াজের আত্মহত্যাকে তার পরিবার একদিকে হত্যা বলে আদালত ও গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে সহ-সভাপতি মামুন, নাজিম, সৌমেন পালিত ও পাঠাগার সম্পাদক তোহার মাধ্যমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক দিয়াজের চৌধুরী বিয়ে ও পরবর্তী প্রেমের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, মৃত্যুর আগে তিনটি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি।

সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি সহ-সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু এর আগে ২০১০ সালে তিনি সাজিয়া আফরিন কুহেলীকে বিয়ে করেন। তবে স্ত্রীর সঙ্গে সংসার চলাকালেই অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বর্তমান কমিটির ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা সায়মা জেরিন প্রিয়ংকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

যার বলে তার স্ত্রী কুহেলী এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিভোর্স দেন। এ বিষয়ে তালাকনামার একটি কপিও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। মূলত এসব নিয়ে পারিবারিক টানাপোড়েনও তার আত্মহত্যার আরও একটি কারণ বলে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে তার পরিবার যে অভিযোগ করেছে তা খতিয়ে দেখা হোক, যে ঘটনার সময় আমরা কে কোথায় ছিলাম। প্রয়োজনে আমাদের কললিস্ট দেখে যাচাই করা হোক, আমরা জড়িত কিনা।

এ সময় তিনি হুশিয়ার করে বলেন, তদন্তে যদি আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ না হয় তাহলে অভিযোগকারী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানহানি অও আইসিটি আইনে মামলা করবো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের সিনিয়র সভাপতি মনসুর আলম, সহ-সভাপতি রূপু আহসান, সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোছেন রায়হান, সহ সভাপতি আবদুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৌশিক বিশ্বাস, দফতর সম্পাদক রায়হান মাহমুদ শুভ, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল টিপু প্রমুখ।

এএম /এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।