বেলা যত গড়িয়েছে ভিড় বেড়েছে সাধারণের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল। বিকেলে সাধারণের দখলে ভোট কেন্দ্রগুলো। দুপুর গড়াতেই ভোট কেন্দ্রগুলোয় সাধারণের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও দুপুরের পর পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে যায়। নারী-পুরুষ উভয়ই ভোট কেন্দ্র আসতে থাকে। এ সময় দীর্ঘ সারিও দেখা যায় অনেক কেন্দ্রে।

অনেকেই নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভোট কেন্দ্রে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তুলনামূলকভাবে নারী ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল বিকেলেও।

রাজধানী ঢাকার পাশে গুরুত্বপূর্ণ শহর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে নানা শঙ্কা, উদ্বেগ ছিল জনমনে। গণমাধ্যমেও এ নির্বাচন নিয়ে নানা বিশ্লেষণ প্রকাশ করে আসছিল।

কিন্তু বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলেছে সকাল থেকেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কেটে যায় অনেকটা। নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেকার উৎসাহ উদ্দীপনাও বাড়তে থাকে।

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সার্বিক দিক বিবেচনা করেই সাধারণ ভোটারদের অনেকেই ভোট দিতে আসেন কেন্দ্রগুতে।

কথা হয় চাষাড়ার গণবিদ্যা নিকেতনে নারী ভোটার আসমা বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, টেলিভিশনে খবর দেখছিলাম সকাল থেকে। কোনো গণ্ডগোলের খবর পাইনি বলেই কেন্দ্রে আসার সিদ্ধান্ত নেই। আমার সঙ্গে মেয়েও এসেছে ভোট দিতে।

আমির আলীর নামে আরেকক ভোটারও একই ইঙ্গিত দিলেন। তিনি বলেন, গতবার ভোট দিতে পারিনি। ভয় ছিল। ভয় ছিল এবারও। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয় কেটে যায়।

নির্বাচন নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী গণমাধ্যমে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছিল, কিন্তু তা কেটে গেছে।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, সাধারণ ভোটাররা সকাল থেকেই কেন্দ্রে এলে ফলাফল অনেক ভালো হত। এরপরেও পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকলে, বিজয় নিশ্চিত হবে ধানের শীষের।

এএসএস/এএস/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।