প্রেম করে গোপনে বিয়ে : বাবার বাড়ি এসে আত্মহত্যা!


প্রকাশিত: ০৫:৪১ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

এক কিশোরীর প্রেম। বাড়ি থেকে প্রেমিকের হাত ধরে পালানো।  গোপনে বিয়ে। বিয়ের পর দাম্পত্য কলহ। পরে বাবার বাড়ি এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায়। ওই কিশোরীর নাম সুমি আকতার (১৪)। যার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এটা আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ এর পিছনে আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মাঠেরহাট হরিপুর গ্রামে কিশোরীর বাবার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সুমি আকতার পলাশবাড়ি উপজেলার রওশনবাগ গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী ও মাঠেরহাট হরিপুর গ্রামের আবদুল গোফ্ফার মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, সুমি রওশনবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আট মাস আগে প্রেম সূত্র ধরে একই গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে আশরাফের সঙ্গে পালিয়ে যায় সুমি। পরে তারা গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। কয়েকদিন আগে সুমি তার বাবার বাড়িতে আসে। সুমিকে বাড়িতে রেখে শনিবার পরিবারের লোকজন দাওয়াত খেতে সাদুল্যাপুরে যায়। এর মধ্যে যেকোনো সময় সুমি নিজ ঘরের তীরের (ধর্ণা) সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সুমির মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে সুমির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

জিল্লুর রহমান পলাশ/জেডএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।