অফিস করছেন না পাউবোর তিন কর্মকর্তা
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী অপুর্ব কুমার ভৌমিকসহ তিনি কর্মকর্তা নিরাপত্তার অভাবে দীর্ঘদিন অফিসে আসছেন না। তারা অফিস না করায় সরকারি কাজে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নপদের কর্মচারীরাও ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না।
এদিকে ঝিনাইদহ সদরের এসডি মতিয়ার রহমান লাঞ্চিত হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দপ্তরটিতে এখন আতংক বিরাজ করছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে মাটি খনন, কালভার্ট ও সেতু সংস্কারের আট কোটি টাকার টেন্ডার কর্মকর্তারা তাদের পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই জনরোষে পড়ার ভয়ে গত এক মাস ধরে অফিসে আসছেন না প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এ কে এম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিক ও এসডিও কনককুমার বিশ্বাস।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলায় আট কোটি টাকার মাটি খনন ও কালভার্ট সংস্কারকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। টেন্ডার ড্রপ ও ওপেনিং তারিখ ধার্য হয় কালভার্ট বা ব্রিজ সংস্কারকাজের জন্য ১২ জানুয়ারি ও মাটি খননের জন্য ২০ জানুয়ারি। টেন্ডার অ্যানালাইসিসের নামে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) এ কে এম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্বকুমার ভৌমিক ও এসডিও কনককুমার বিশ্বাস দীর্ঘ এক মাস অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে তারা নিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে কুষ্টিয়া অফিসে বসে বাইরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিক কাজ দিয়েছেন। ফলে ঝিনাইদহের ঠিকাদারদের রোষানল থেকে বাঁচতে ওই তিন কর্মকর্তা অন্যত্র বদলি হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।
অফিস না করার বিষয়টিকে নাকচ তরে দিয়ে পিডি ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে কুষ্টিয়া অফিসে বসে দাফতরিক কাজগুলো করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘টেন্ডার ইন্টারনেটে যাচাই-বাচাই করে স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। কাজ নিয়ে ঘাপলাবাজি করার কোন সুযোগ নেই। এ সম্পর্কে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি অফিশিয়াল সিস্টেমে চ্যালেঞ্জ করতে চায় আমরা সেজন্য তাদের ডকুমেন্টগুলো প্রিন্ট করে অফিসে রেখে দিয়েছি।’
এলএ/পিআর