অ্যাম্বুলেন্সবিহীন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, রোগীদের ভোগান্তি


প্রকাশিত: ০৭:৪৮ এএম, ০৫ মার্চ ২০১৫

ফিলিং স্টেশনে তেল কেনার ৩০ লাখ টাকা বাকি। তাই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ হয়ে গ্যারেজে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে জেলার রোগী সাধারণ মারাত্মক দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে অলস সময় পার করছেন দু’চালক। কবে নাগাদ এ অবস্থা থেকে চুয়াডাঙ্গার ভুক্তভোগীরা মুক্তি পাবে তাও বলা যাচ্ছে না ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ১শ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে দু’টি এ্যাম্বুলেন্স জরুরি রোগী আনা-নেয়া করে থাকে।  এ্যাম্বুলেন্স দু’টি চুয়াডাঙ্গা শহরের হক ফিলিং স্টেশন থেকে বাকিতে জ্বালানি তেল নিয়ে থাকে। কয়েক বছরের জ্বালানি কেনার ৩০ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ গত ১ মার্চ থেকে জ্বালানি দেয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে এ্যাম্বুলেন্স দুটি গ্যারেজে পড়ে আছে। আর চালক দু’জন কাটাচ্ছেন অলস সময়।

চালক শহিদুল ইসলাম সাকু ও শরিফুল ইসলাম স্বপন জানান, তেলের অভাবে আমরা অ্যাম্বুলেন্স চালাতে পারছি না। তেলপাম্প থেকে বাকিতে তেল না দেয়ার কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অ্যাম্বুলেন্স দু’টি গ্যারেজে রেখেছি।

এদিকে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে রোগীর লোকজন পড়েছেন বেকায়দায়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত মুমূর্ষু রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রোগীর লোকজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং তাদেরকে বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে কেউ কেউ মাইক্রোবাস বা নসিমন-করিমনযোগে ঝুঁকি নিয়ে রোগী বহন করছেন। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসসূত্র জানায়, ৩৫ লাখ টাকা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। অর্থ ছাড় হলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

এসএইচএ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।