বন্ধুর কাছ থেকে বান্ধবীকে ছিনিয়ে নিল চার যুবক, এরপর গণধর্ষণ


প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাগেরহাটের রামপালে বন্ধুর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে সতেরো বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে ৪ লম্পট। ঘটনাস্থল থেকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ সেলিম মোল্লা (২৪) নামে এক যুবককে আটক করলেও বাকি তিন লম্পট পালিয়ে গেছে। এসময় পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে।

শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের গৌরম্ভা গ্রামের জনৈক হাজী জুলফিকার আলীর বাড়ির বাগানে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।

নির্যাতনের স্বীকার কিশোরীটি বাদী হয়ে রামপাল থানায় সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।

শনিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সেলিম মোল্লা গৌরম্ভা গ্রামের আমানত মোল্লার ছেলে।

রামপাল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের নয়ন নামে এক ছেলের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে এই কিশোরীর মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্রধরে শুক্রবার বিকেলে নয়ন নামে ওই বন্ধু মোবাইল করে মেয়েটিকে রামপালে আসতে বলে। বন্ধুর ফোন পেয়ে সরল বিশ্বাসে মেয়েটি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শিয়ালীডাঙ্গা গ্রাম থেকে রামপালে চলে আসে। নয়ন ও তার আরেক বন্ধু প্রদীপসহ দুজনে রামপাল উপজেলার ভান্ডারকোট নামকস্থান থেকে মেয়েটিকে নিয়ে তারা একই উপজেলার আদাঘাট এলাকায় ঘুরতে বের হয়। ইতোমধ্যে সন্ধ্যা নেমে এলে  সেখান থেকে ঘুরে তারা তিনজনে মিলে গৌরম্ভা গ্রামের দিকে রওনা দিলে নয়নের পূর্ব পরিচিত সেলিম, লোকমান, বাবুল ও সেন্টু তাদের পথরোধ ও ভয় ভীতি দিয়ে জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে আটকে রেখে নয়ন ও প্রদীপকে চলে যেতে বাধ্য করে। পরে ওই চার যুবক মেয়েটিকে একই গ্রামের জুলফিকারের  একটি বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে।

কিশোরীর বন্ধু নয়ন ও প্রদীপের মাধ্যমে গ্রামবাসী খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানালে পুলিশ সেখানে গিয়ে সেলিমকে গ্রেফতার ও ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেলিম তার তিন বন্ধু মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।