আবারো যৌতুকের নির্যাতন : মৃত্যুর পথে এক নারী


প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

আবারো যৌতুকের জন্য স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দেবরের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শরিফা খাতুন নামে এক নারী। আর এই নির্যাতনের কারণে বর্তমানে তিনি হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। মঙ্গলবার রাতে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা শহরে।

দুই সন্তানের জননী শরিফা খাতুন। বিয়ের পর থেকেই সংসারে অশান্তি। কারণ স্বামীর চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক না দেয়া। এ কারণে স্বামীসহ তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দেবর প্রতিনিয়ত তার উপর মানবিক আত্যচার চালাতো। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে শরিফার নামে থাকা ৫ শতাংশ জমি তার স্বামীর নামে লিখে না দেয়ায় পাশবিক নির্যাতন চালায় শরিফার স্বামী জুয়েল। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও দেয়ালের সাথে মাথা আছঁড়িয়ে শরিফাকে গুরুত্বর আহত করে জুয়েল, তার বাবা আবু সাইদ, মা জুলেখা বেগম, ভাই মিজানুর ও রুবেল।

আহত অবস্থায় প্রতিবেশীরা শরিফাকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে রাতেই টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রিফাত হাসান বলেন, মাথায় ও শরীরে মারাত্মক জখম হয়েছে। মাথায় গুরুত্বর আঘাত লাগায় রোগী বমি করছে। সে এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

ভূঞাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের শরবত আলী বেপারীর মেয়ে শরিফা খাতুনের বিয়ে হয় একই উপজেলার পৌর এলাকার আবু সাইদের ছেলে জুয়েলের সাথে।

এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।