গাইবান্ধায় নদীতে পানি নেই : বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক


প্রকাশিত: ০১:৫৭ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই বড় বড় নদীসহ খাল-বিলগুলোতে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় গাইবান্ধার প্রাকৃতিক উৎস নির্ভর সেচ ব্যবস্থার আওতায় সোয়া ২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

চৈত্র মাসে এ অঞ্চলে পানি শূন্যতা দেখা দিলেও এ বছর ফাল্গুন মাসের শুরুতেই এই বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বড় বড় নদ নদী এবং খাল-বিলের পানির নির্ভর করে লো লিফট পাম্প বসিয়ে এ বছর জেলার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ি উপজেলায় ডিজেল চালিত একশটি এবং বিদ্যুৎ চালিত ১৬টি সেচযন্ত্রের মাধ্যমে এক হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় প্রযুক্তির ডোঙ্গা, হোচা, দোন দিয়ে পানি সেচ করে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এদিকে, সেচ মৌসুমের শুরুতেই নদী-নালার পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে প্রাকৃতিক পানি নির্ভর সেচ ব্যবস্থার আওতায় এসব জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না বলে আশংকা করা হচ্ছে। কেননা নদী-নালা তীরবর্তী ওই সমস্ত জমিতে গভীর বা অগভীর নলকুপ বসিয়ে সেচ দেয়া সম্ভব হয়না। ফলে পানি শূন্যতার কারণে ওই সমস্ত বোরো ধান চাষের জমিতে এ বছর কৃষকরা অন্য ফসল চাষে বাধ্য হচ্ছে।

নদ-নদীর এই অস্বাভাবিক পানি শূন্যতার কারণ হিসেবে কৃষি বিভাগ সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পলি জমে নদীগুলো ভরাট হয়ে স্বাভাবিক নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তদুপরি অতিরিক্ত গভীর ও অগভীর নলকূপ বসিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পানি দিয়ে সেচ দেয়ার কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ বছর অনেক আগেই পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে।

বর্ষা মৌসুমে নদ-নদীগুলোতে প্রাকৃতিক পানি সঞ্চয় করে রাখার বড় বড় জলাধার নির্মাণ করে এবং নদীগুলো ড্রেজিং করে অতিরিক্ত পানি ধারণ করার ব্যবস্থা করলে প্রাকৃতিক উৎস নির্ভর সেচ ব্যবস্থার উন্নতি করা সম্ভব হবে কৃষি বিভাগ মনে করেন।

এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।