রাজশাহীতে বন্ধুকযুদ্ধে শিবির ক্যাডার গুলিবিদ্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার নাম জনি ইসলাম (২০)। তিনি মহানগরের বিনোদপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম দুলালের ছেলে এবং স্থানীয় ইসলামীয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিনোদপুর বাজারে মহানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান ইয়ামিন (২৬) ও ছাত্রলীগ কর্মী ইশতিয়াক হোসেন ইশার (২৪) পায়ের রগ কেটে দেয় শিবির।

ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিনোদপুর এলাকা থেকে রাত ১১টার দিকে শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার জনি ইসলামকে আটক করে। পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সহযোগিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। রাতে সহযোগিদের আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয়। রাত ২টার দিকে রাজপাড়া থানার তেরোখাদিয়া এলাকায় পৌঁছায়।
তাকে নিয়ে ওই এলাকার ডাবতলায় অভিযান শুরু করলে শিবির ক্যাডাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রায় ৮টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলিও চালায়। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে থাকলে শিবির ক্যাডার জনি ইসলাম দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে দু’পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়ে আহত হন জনি। তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি লাগে।

পুলিশ গুলিবিদ্ধ জনিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। পরে তাকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। তার নেতৃত্বেই বড় বড় হামলা ও নাশকতার ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।