সাভারে সার কারখানা সিলগালা, আটক ৭


প্রকাশিত: ০১:০৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার দোসাইদ ও কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকায় দুটি ভেজাল সার তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উয়িং এর উপ-পরিচালক মাকসুদুল আলম জাগোনিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার সকাল থেকে বিকেল অবধি র‌্যাব-৪ এর সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন। অভিযানে ‘এস.এস.এ.এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানী’ ও ‘সবুজ এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ’ নামের কারখানা দুটি থেকে প্রায় ৯৩ টন ভেজাল সার জব্দ করা হয়। পরে কারখানা দুটি সিলগালা ও ৭ জনকে আটক করে র‌্যাব। আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের পাশাপাশি মোট ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও দিয়েছে আদালত।

এ ব্যাপারে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সাভার এলাকায় গোপনে ভেজাল সার উৎপাদন করে আসছিলেন আটককৃতরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ ব্যাটালিয়নের সহায়তা দুপুরে নবীনগর ক্যাম্পের (সিপিসি-২) অধিনায়ক মেজর মাহমুদ, এএসপি দোলন মিয়া ও মিরপুর ক্যাম্পের উপ-অধিনায়ক মেজর সুরুজের নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রে মোহাম্মদ আল-আমীন আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার এস.এস.এ.এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানীর মালিক মকবুল হোসেন ও দোসাইদ এলাকার লোকমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সবুজ এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিক সাজেদুর রহমান লাল মাটির সঙ্গে বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে দস্তা ও জৈব সারসহ ১৮ রকমের ভেজাল সার তৈরী ও বাজারজাত করছিল।

আটকৃতরা হলেন, এস.এস.এ.এগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানীর মালিক মকবুল হোসেন, কারখানার কর্মচারী আতাউর, রাজু এবং সবুজ এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের কর্মচারী রাজ্জাক, মহিউদ্দিন, মিন্টু ও বাবু। এদের মধ্যে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর অধিনে কারখানা মালিক মকবুল হোসেনকে দুই বছর ৬ মাসের সশ্রম কাড়াদন্ড, দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কাড়াদন্ড প্রদান করা হয় এবং আটককৃত ৬ শ্রমিকের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ড, অনাদায়ে ১৫ দিনের কাড়াদন্ড দেওয়া হয়। এছাড়া সবুজ এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিক সাজেদুর রহমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরসহ জব্দকৃত মালামাল ধ্বংসের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা কর্মকর্তা এম,এম,এ সালাম জানান, এধরনের ভেজাল সার কারখানা সনাক্ত করতে আমাদের নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

জেইউ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।