তালতলীতে ট্রলার ডুবি, ৭ মরদেহ উদ্ধার
বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা নদীর মোহনায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রায় ২শত যাত্রী নিয়ে এফবি খাদিজা নামের ট্রলারটি ডুবে যায়।
শুক্রবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে পাঁচটি লাশ উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করেন তালতলী থানার ওসি বাবুল আক্তার। এরপর রাত পৌনে ১০টায় আরও দুটি লাশ উদ্ধারের কথা জানান তালতলীর নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী।
নিহতরা হলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ঝাউবনের জয়নাল আবেদীন (৬০), লক্ষ্মীপুরার শফিজদ্দিন চৌকিদার (৫৫), নয়ামিস্ত্রীপাড়ার আমির আলি (৪২), বি আর আমখোলার ইউসুফ মাঝি (৪৫), খাজুরার আবু নাঈম (১৩), মহিপুরের আলী হোসেন (৩৫) ও হারুন মুন্সী (৩৭)।
ট্রলারে থাকা যাত্রী মহিপুরের কচ্চপখালী ও পশ্চিম আজিমপুর গ্রামের আবতাব হাওলাদার, সেকান্দার আলী, কালাম, রত্তন ও গোলাম মস্তোফা জানান, বরগুনার চলাভাঙ্গা দরবার শরীফের মাহফিলে যাওয়ার জন্য কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থেকে প্রায় ২শত যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি সকাল ৯টায় ছেড়ে আসে। মহিপুর থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে তালতলীর নলবুনিয়ার চর সংলগ্ন পায়রা নদীর মোহনায় আসলে জোয়ারে স্রোতের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ও ট্রলারের মাঝি হাজী আবদুল কাদের জানান, যাত্রী বোঝাই ট্রলারটি নলবুনিয়ারচর সংলগ্ন পায়রা নদীর মোহনায় আসলে জোয়ারের স্রোতে হঠাৎ কাঁত হয়ে ডুবে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী ও তালতলী থানার ওসি বাবুল আকতার ট্রলারে থাকা মুছুল্লীদের বরাত দিয়ে জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৫-৬ জন মুছুল্লী নিখোঁজ রয়েছে। এদের বাড়ী কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
এদিকে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ট্রলারের মাঝি বাবুল জানান, উদ্ধার কাজ শেষ হলেও নিখোজ মুছুল্লীদের তল্লাশি চলছে। এদিকে, ট্রলার ডুবিতে নিহত সাতজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকারের পক্ষে তিনি (জাহাঙ্গীর আলম) নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
এএইচ/এমএস