ঢাকায় নেয়া হলো হাসি-খুশিকে


প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ২১ অক্টোবর ২০১৬

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে জন্ম নেয়া জোড়ালাগা যমজ দুই বোন হাসি-খুশিকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। তাদেরকে অপারেশনের মাধ্যমে আলাদা করার আশা নিয়ে তার পরিবার ঢাকায় নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেট জোড়ালাগা শিশু হাশি-খুশিকে তার পরিবার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়।

হাসি-খুশির বাবা মুকুল মিয়া জানান, রাতেই ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করার পর শিশু দু’টিকে শিশু বিভাগের ১১নং ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জোড়ালাগা শিশু দু’টিকে আলাদা করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষা বাইরে থেকে করাতে হবে। এ জন্য যে টাকা প্রয়োজন তা তাদের কাছে নেই। এ কারণে এখনো পর্যন্ত সব পরীক্ষাগুলো করানো সম্ভব হয়নি। পরীক্ষাগুলো করার পর চিকিৎসকরা আগামী কাল বোর্ড বসিয়ে তার পর সিন্ধান্ত নেবেন হাসি-খুশিকে আলাদা করা যাবে কি না?

এদিকে পরিবারটি আশা করছেন হাশি-খুশিকে আলাদা করতে তারা সরকারসহ চিকিৎসকদের সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা পাবেন। গত বুধবার জীবননগর শহরের আদর্শ ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মা সীমা খাতুন (২০) জোড়া লাগা বিরল এ যমজ দুই কন্যা শিশুর জন্ম দেন।

জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মুদি দোকানি মুকুল মিয়ার স্ত্রী সীমার প্রসব বেদনা উঠলে গত বুধবার বিকেলে তাকে জীবননগর উপজেলা শহরের আদর্শ ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে দেখেন কন্যা দুই শিশু বুকের সিনা হতে নাভি পর্যন্ত জোড়া লাগানো। দুটি মাথা, দুটি পা, দুটি হাত ও আদালা যৌনাঙ্গ নিয়ে জন্ম নেয়া দুই বোনকে তাদের পক্ষে আলাদা করা অসম্ভব।

এ অবস্থায় তিনি তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, এমন শিশু জন্মের ঘটনা বিশ্বে খুবই বিরল।

এ রোগের নাম কনজয়েন্ট টুইন। দুজনকে আলাদা করতে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। এর জন্য বিপুল অংকের অর্থেরও প্রয়োজন।

সদ্যজাত হাশি-খুশির নানা বাদল মিয়া জানান, তিনি একজন দরিদ্র কৃষক, অন্যদিকে জামাতা মুকুল ক্ষুদ্র একজন মুদি দোকানি। যমজ হাসি-খুশিকে আলাদা করতে ব্যয় বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। যা তাদের পক্ষে বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সালাউদ্দীন কাজল/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।