লক্ষ্মীপুরে মৎস্যজীবী সমিতির নেতাসহ ১০ জেলের কারাদণ্ড


প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ১২ অক্টোবর ২০১৬

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার দায়ে মৎস্যজীবী সমিতির এক নেতাসহ ১০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের প্রত্যেকের দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কমলনগর উপজেলার কালকিনি ইউনিয়ন মৎস্য সমিতির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন, চর সামছুদ্দিন গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে আবু তাহের, চর কালকিনি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন, সদর উপজেলার মধ্য চরচরমনি গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে আলাউদ্দিন, নোয়াখালীর পূর্ব মাছছড়া গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে মো. মোস্তফা, সৈয়দ আহম্মদের ছেলে হোসেন আহম্মদ, মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. সিরাজ, শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে মো. শাহাজাহান ও শাহজাহানের ছেলে মনির হোসেন এবং ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মো. আলাউদ্দিন।

এর আগে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক ও ৫ হাজার মিটার জাল এবং একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার জব্দ করে প্রশাসন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর মজুচৌধূরীর হাট, মতিরহাট, বুড়িরহাট এলাকায় ইলিশ ধরার সময় জেলে সমিতির এক নেতা ও ৯ জেলেকে আটক করা হয়।

এ সময় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও প্রায় ৫ লাখ টাকার জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস ও জব্দকৃত প্রায় ১ মণ ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

এ সময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম মহিব উল্যা ও সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদী পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।

কাজল কায়েস/এএম/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।