দুই বছর আগে নিখোঁজ হন আহসান হাবিব
টাঙ্গাইলে জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত দুইজনের একজন নওগাঁর আহসান হাবিব ওরফে শোভন (২৬)। তিনি দুই বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
শোভন জেলার রাণীনগর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে আলতাব হোসেন তার ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন। তবে মরদেহ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
এর আগে শনিবার টাঙ্গাইলে শহরের কাগমারা মির্জামাঠ এলাকায় একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত হন শোভন।
জানা গেছে, গত ২০০৯ সালে নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন শোভন। সেখানে নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের পঞ্চম তলায় একটি ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করতেন। পড়াশুনা অবস্থায় শোভন ছাত্র শিবিরের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৪ সালে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের সময় পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ শোভন ও একই বিভাগের অধ্যয়নরত শরিফুল ইসলাম (২৭) গ্রেফতার হন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর গোদাগাড়িতে অস্ত্র আইনে মামলা হয়। মামলায় তারা কয়েক মাস পর হাজত ভোগ করে জামিনে বের হয়ে আসেন। এরপর শোভন নওগাঁতে কয়েকদিন থাকার পর আবার রাজশাহীতে ফিরে যান।
আহসান হাবিব শোভনের বাবা আলতাব হোসেন জানান, পরবর্তীতে শুভর আদালতে হাজিরা না দেয়া এবং কথাবার্তায় সন্দেহজনক আচরণ দেখা দেয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। একপর্যায়ে শোভন পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ও ফেসবুকেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ওই মামলায় শোভন হাজিরও হয়নি। এরপর থেকেই নিখোঁজ সে। এ ঘটনার পর গত বছর গোদাগাড়ির বোয়ালিয়া ক্যাম্প সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
আলতাব হোসেন আরো জানান, র্যাব অফিস থেকে সংবাদ দিলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টাঙ্গাইলে গিয়ে ছেলে শোভনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। তবে ছেলের মরদেহ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।
আব্বাস আলী/বিএ