গাজীপুরে তিন জঙ্গির পরিচয় শনাক্ত
গাজীপুরের নোয়াগাঁও পাতারটেকে পুলিশের অভিযানে নিহত সাত জঙ্গির মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, পত্রিকায় জঙ্গিদের প্রকাশিত ছবি দেখে নিহতদের স্বজনরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে তাদের শনাক্ত করার কথা জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সিলেটের ছাতকের সাইফুল ইসলাম ওরফে বাবুল ও ঢাকার বংশাল থানার মোগলটুলী এলাকার মো. আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. ইব্রাহিমের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর আগের সিরাজগঞ্জের ফরিদুল ইসলাম আকাশের পরিচয় মিলেছে।
পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি ইব্রাহিমের বাবা আজিম উদ্দিন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ইব্রাহিম পড়াশোনা করেছেন ঢাকার যাত্রবাবাড়ীস্থ তামিরুল মিল্লাত মাদরাসায়। ইব্রাহীম চলতি বছর (এইচএসসি) পাস করেছেন। তিন মাস আগে বাসা থেকে নিখোঁজ হয় সে। এরপর এ ব্যাপারে তার বাবা ঢাকার বংশাল থানায় জিডিও করেছিলেন।
ইব্রাহীম জঙ্গি হওয়ায় তার বাবা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময়ে তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে মৌলবাদী গোষ্ঠীতে জড়িয়ে যাওয়ায় প্রাণ দিয়েছে তার ছেলে ইব্রাহিম। যারা আমার কোমলমতি সন্তানকে জঙ্গি বানিয়েছে তাদের আমি শাস্তি চাই। আমি চাই আর কারো সন্তান যেন এ ধরনের জঙ্গি সংগঠনে না জড়ায়, এজন্য আমি সরকারের কাছে কঠোর পদক্ষেপ আশা করছি।
এর আগে পাতারটেকের অভিযানের পর রোববার রাতে সৌদি প্রবাসি সোলায়মানের স্ত্রী সালমা বেগম ও সোলায়মানের ভাই ওসমান গণিকে আটক করে পুলিশ।
জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, ওই দুইজন ছাড়াও সিলেটের ছাতকের সাইফুল ইসলাম নামে এক জঙ্গির স্বজনরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা সেখান থেকে গাজীপুরে আসছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সিটি কর্পোরেশনের নেয়াগাঁও পাতারটেক এলাকায় পুলিশ, সোয়াত ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের যৌথ অভিযানে সাত জঙ্গি নিহত হয়।
আমিনুর ইসলাম/এআরএ/আরআইপি