২০ বছরেও ধরা পড়েনি এতো ইলিশ


প্রকাশিত: ০৩:৫৪ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভোলার মেঘনার শাহবাজপুর চ্যানেল, তেঁতুলিয়া নদী আর সাগর মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ার হার গত ২০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এমন ইলিশের আধিক্য গত ২০ বছরে আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

ফারাক্কার গেইট খুলে দেয়ার পর থেকে ভোলাসহ উপকূলে নোনা পানি কেটে গিয়ে মিঠা পানি বিরাজ করায় গত ১৭ দিন  ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ সাগর থেকে ওঠে আসে। মৎস্য বিভাগ এ বছর ভোলায় এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন ও আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ছিল ইতিমধ্যে সেই লক্ষ্যমাত্র ছেড়ে গেছে।   

ইলিশার ব্যবসায়ী সায়েদ আলী জানান, ভোলার শাহাবুদ্দিন, শাহজল বেপারী, মো. ফারুক, তাহের বুলাই, জামাল কোম্পানী, নাগর হাজারী, মহিউদ্দিন মাস্টার, মো. মোস্তফা হাজি, আলাউদ্দিনসহ ১৫ জনের অধীন জেলে, নৌকা ও ট্রলার রয়েছে দুই হাজার। বিনিয়োগ (দাদান) রয়েছে ১২ কোটি টাকা।

BHOLA

গত ১৮ বছর লোকসান গুণলেও এবার লোকসান থাকছে না বলেও জানান। একই অবস্থা ভোলার তুলাতুলি ও শিবপুর খাল এলাকায়। মনপুরার রামনেওয়াজ, হাজিরহাট, লতারচর, কলাতলি, মাঝেরকাঠি, জনতাবাজার, তালতলা, সুর্যমুখি, কাটাখালি, মাস্টারহাট, চরনিজামসহ ১৬টি ঘাটে বিনিয়োগকারী রয়েছেন ২৫০ জন। এরা এক একজন ২০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

ভোলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম মুন্সি জানান, ফারাক্কার পানির প্রবাহে এ অঞ্চলে মিঠা পানির উচ্চতা বাড়ে। আর তাতেই ঝাঁক ঝাঁকে ইলিশ আসতে শুরু করেছে এবং জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এবার ভোলায় দুই হাজার ব্যসসায়ী (দাদান ব্যবসায়ী) জেলার ১৯০ কিলোমিটার নদী এলাকায় ইলিশ মাছ ধরার জন্য ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন। এদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নৌকা, ট্রলার ও জাল কিনে নদীতে নামে জেলেরা।

BHOLA-Elis

বিগত দিনে দাদনের টাকা পরিশোধ করতে না পারলেও এবার ১৭ দিনেই টাকা ফেরত দিতে পারেছে জেলেরা। এমন কথা জানান, শিবপুরের জেলে রফিজল, মো. শরীফ, আব্দুর রহিম, ইলিশার, নাছির, রহমানসহ শত শত জেলেরা।  

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, জেলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেরা মাছ ধরতে পারবে। ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশের ভরা প্রজননের জন্য নদী ও সাগর মোহনায় জাল ফেলতে পারবে না জেলেরা।

চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিসুর রহমান জানান, শাহবাজপুর চ্যানেলেসহ উপকূলের কয়েকটি পয়েন্টে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় ইলিশের খাদ্যের উপাদান বেড়েছে। এ কারণে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ এ অঞ্চলে আসছে।

এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।