বিয়ের দাবিতে অনশন অতঃপর আত্মহত্যা


প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

প্রেমিকের পরিবার বিয়ের দাবি মেনে না নেওয়ায় এবং প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে প্রেমিকের বাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৯নং বহুরিয়া ইউনিয়নের মুন্দিরাপাড়া গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে।

মঙ্গলবার সকালে তানিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ওই বাড়িতে তিনদিন অনশন করে ওই ছাত্রী। কিন্তু প্রেমিকা বাড়িতে অবস্থান করছে এই ঘটনা টের পেয়ে প্রতারক প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে এ ঘটনার পর থেকেই রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক।

জানা গেছে, মুন্দিরাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবু রায়হান (২২)। সে মির্জাপুর বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মার্কেটে গার্মেন্টসে কাজ করে। মোবাইলে একই উপজেলার বাঁশতৈল নয়াপাড়া পাঁচগাঁও গ্রামের কাতার প্রবাসী মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে বাঁশতৈল নয়াপাড়া হাজি ময়েজ উদ্দিন দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়ার (১৪) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার।

দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে রায়হান তানিয়াকে বিয়ে করবে এই আশ্বাসে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবে দীর্ঘদিন চলার পর রায়হানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তালবাহানা শুরু করে।

গত শুক্রবার রায়হানের বাড়ি পালিয়ে যায় তানিয়া। তানিয়া বাড়িতে অবস্থান করছে এই ঘটনা টের পেয়ে প্রতারক রায়হান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। গত তিনদিন ধরে তানিয়া ওই বাড়িতেই অবস্থান করে। এ ঘটনা দেখার জন্য শত শত লোক ওই বাড়িতে ভিড় করে।

মৃত্যুর আগে রায়হান তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে বলেও জানায় তানিয়া।
 
এ ব্যাপারে রায়হানের বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। ছেলে পলাতক। সোমবার রাতে তানিয়া বিষপান করলে স্থানীয় লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার পর তানিয়া মারা যায়।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় আহত তানিয়াকে কুমুদিনী হাসপাতালে দেখার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আহসান হাসিব খান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ও কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুর রহমান দেখতে যান। তারা তানিয়াকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, থানায় মামলার প্রক্রিয়া।

আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।