নওগাঁয় কুরবানির পশুর দাম কমেছে


প্রকাশিত: ০২:৩৪ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শেষ মুহূর্তে  নওগাঁর অধিকাংশ পশুর হাটগুলোতে দাম কমেছে। এতে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও দাম কম হওয়ায় অনেক বিক্রেতা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর না বেঁচে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় ছোট-বড় ১০৮টি হাট রয়েছে। স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৩৮টি। এর মধ্যে নওগাঁ সদরের ত্রিমোহনী, মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া, সুতিহাট, নিয়ামতপুরের ছাতড়া হাট, মহাদেবপুরের মাতাজী, বদলগাছীর কোলা, গোবরচাপাহাট, আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ, পত্নীতলার মধইল, ধামইরহাটের ইসবপুর, আগ্রাদ্বিগুন, রাণীনগরের আবাদপুকুর, সাপাহারের উমইল, পোরশার গাংগুরিয়া ও মর্শিদপুর পশু কেনাবেচার বড় হাট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহাদেবপুর উপজেলার মাতাজি হাটে প্রচুর মাঝারি এবং বড় আকারের গরু আমদানি হয়েছিল। তবে আমদানির তুলনায় কেনাবেচার পরিমাণ ছিল কম। ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় ছিল লাল এবং কালো গরু। গরুর দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় অনেকে গরু না বেঁচে বাড়ি ফিরছেন। এ সুযোগে ঢাকার গরু ব্যবসায়ীরা কম দামে গরু কিনেছেন।

গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখনকার সময়ে হাটে পশুর দাম বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু দাম বেশি না হয়ে তুলনামূলক কমেছে। এ হাটে যেসব গরু কেনা হয়েছে ঢাকার বাজারে অনেক লাভ থাকবে। তবে এক মাস আগে গরুর দাম বেশি হলেও ঈদের আগে কমেছে গরুর দাম।

এছাড়া হাটে ছাগল ও ভেড়া আমদানি হয়েছে পর্যাপ্ত এবং বিক্রি হয়েছে যথেষ্ট। দাম ৭ হাজার থেকে ২৬ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ৭ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকা মূল্যের ছাগল বিক্রি হয়েছে বেশি।

Naogaon

গরু বিক্রি করতে আসা আব্দুর রইচ বলেন, প্রতিটি গরু প্রায় ৪৩ থেকে ৪৪ হাজার টাকা করে কিনেছিলাম। হাটে ক্রেতারা দাম হাকছেন ৩৮ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা করে। ভাবছিলাম ঈদের কয়েকদিন আগে বিক্রি করলে ভাল লাভ পাবো। লাভতো দূরের কথা মূলধন উঠানো এখন কষ্টের বিষয়।

খামারী জব্বার আলী বলেন, বাড়িতে খৈল, ভূষি খাইয়ে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরুকে মোটাতাজাকরণ করেছি। হাটে প্রচুর গরু আমদানি হয়েছে। সে তুলনায় ক্রেতাও কম। ৭৫ হাজার টাকা দাম রাখছিলাম। ক্রেতারা ৫৫ হাজার থেকে ৫৮ হাজার টাকা বলেছেন।

গরু কিনে বাড়ি ফিরছেন মহাদেবপুর উপজেলার রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, গত দুই হাট ঘুরেছেন গরু কেনার জন্য। মাতাজি হাট থেকে ৪২ হাজার টাকা দিয়ে কালো রঙের গরু কিনেছেন। তবে দামের তুলনায় গরু ভাল পেয়েছেন।

Naogaon

বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার থেকে আসা ঢাকার গরু ব্যবসায়ী রকেট বলেন, গরুর বাজার কম। এ সুযোগে ১৫টি মাঝারি আকারের গরু কিনেছি। ঈদের মধ্যে ঢাকার বাজারে এ গরুগুলো থেকে বেশি লাভ থাকবে। তবে হাটে ক্রেতা কম থাকায় দাম কম বলে জানান তিনি।

মাতাজি হাটের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে এটি ছিল শেষ হাট। হাটে প্রচুর পশু আমদানি হয়েছিল। আমদানির তুলনায় কেনাবেচার পরিমাণ ছিল কম। ক্রেতা না থাকায় গরুর দাম তুলনামূলক কম। অনেকে গরু না বেঁচে বাড়িতে ফিরে নিয়ে গেছেন। এছাড়া অন্যান্য হাটেও গরুর দাম কম। ঈদের আগে হাটগুলো আর হয়তো বেশি দামে গরু কেনাবেচা সম্ভব নয়।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।