হরিণাকুন্ডু থানার ওসির বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০১:১৩ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৫

অন্যের স্ত্রী অপহরণের দায়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানার ওসি এরশাদুল কবীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় একই থানার এসআই ফারুক হোসেনসহ আরো চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার হরিণাকুন্ডু উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের আব্দার হোসেনের ছেলে তানভীর আহমেদ বাদী হয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুর রউফ, আড়ুয়াকান্দি গ্রামের নোমান, তোলা গ্রামের বাচ্চু ও অজ্ঞাতনামা তিন পুলিশ।

বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেলকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাদী হরিণাকুন্ডু উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রোকসানাকে তিন লাখ টাকার দেন মোহরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন।

বিয়ের পর বাদী তার স্ত্রীকে নিয়ে গত রোববার নিকটাত্মীয় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এরপর আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে বাদীর স্ত্রী রোকসানাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে আসে। এসময় বাধা দিলে তারা খুন-জখমের ভয় দেখায়। বাদী তার অভিযোগ পত্রে আরও উলে­খ করেছেন, প্রধান আসামি হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আমার স্ত্রীকে অন্যজনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করে অপহরণ করে এনে তিন নং আসামি আব্দুর রউফের কাছে হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন ওসি এরশাদুল কবির। অন্যদিকে বাদী তার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য ঝিনাইদহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০০ ধারায় আরেকটি মামলা করেন। এ মামলাটিও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

ওসির বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, আদালতের আদেশ পাওয়ার পর মামলার যথাযথ কার্যক্রম শুরু হবে।

এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।