রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হবে


প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে মংলা বন্দর দিয়ে প্রতিমাসে ৫ লাখ টন কয়লা আমদানি হবে, আর তাতেই দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়ন সাধন হবে।
 
‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে এমনই অভিমত দিয়েছেন বক্তারা।
 
রোববার খুলনা প্রেস ক্লাবে মংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটি ও খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের আয়োজনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ব্যবসায়ী ফকির মো. সাইফুল ইসলাম।

গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সরদার সফিকুল ইসলাম, আহসান উল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, বন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন আহমেদ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু হাসান।

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে বিভিন্ন যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হলে প্রাথমিক পর্যায়ে মংলা বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে ১.৫০ থেকে ২.০০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি হবে এবং পরবর্তীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ৫০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হলে ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন কয়লা মংলা বন্দর দিয়ে আমদানি হবে।

মংলা থেকে রামপাল পশুর চ্যানেলটি ক্যাপিটাল ড্রেজিং হলে ওই রুট দিয়ে নৌযান দ্বারা অতি অল্প খরচে উল্লেখিত কয়লা পরিবহন করা সম্ভব হবে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক সম্মৃদ্ধশালী হবে।

বক্তারা আরো বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। এত দূরত্ব থেকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ন্যূনতম ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা কখনোই নেই। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিমনির উচ্চতা হবে ৯৪০ ফুটের ওপর। সুতরাং বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়েই প্রকল্পটির কাজ শুরু করা হয়েছে।

ভারতে ১৫টি কেন্দ্রে ২৪,৩৯৫ মেগাওয়াট, মালয়েশিয়ায় ২৬টি কেন্দ্রে ৫১,৫০৬ মেগাওয়াট, ইন্দোনেশিয়ায় ২২টি কেন্দ্রে ১৮,৬৩০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে এবং এ সকল দেশের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো শহর এবং বনাঞ্চলের খুব কাছাকাছি স্থাপিত। সেখানে পরিবেশের কোনো দূষণ হচ্ছে না।
 
রামপাল অঞ্চলে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের লাখো মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকার সমস্যা দুর হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন উপকরণ আমদানির মাধ্যমে মংলা বন্দর আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে পূর্ণাঙ্গতা পাবে বলেও বৈঠকে বলা হয়।

আলমগীর হান্নান/এফএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।