নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা কাশিমপুর কারাগার এলাকা


প্রকাশিত: ০৪:৩৭ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

যে কোনো সময় কার্যকর হতে পারে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায়। আর এ রায় কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা কাশিমপুর কারাগারের সড়কে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে কমিউিনিটি পুলিশের সদস্যরা।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, শুধু কাশিমপুর এলাকা নয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরো গাজীপুর জেলায় নেয়া হয়েছে। এজন্য টঙ্গী, স্টেশন রোড, বোর্ড বাজার, ভোগড়া বাইপাস মোড়, চান্দনা চৌরাস্তা, গাজীপুর শহর, রাজেন্দ্রপুর, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব এলাকায় সর্বাত্মক সতর্কতা বজায় রাখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রায়কে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কাশিমপুর কারাগারের সামনে মূল কারা ফটকে বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত কারারক্ষীর সংখ্যা।

কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশের প্রধান সড়কের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে কারাগারের প্রধান ফটক পর্যন্ত সড়কের ৫টি স্থানে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা এসব চৌকিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি অবস্থান নিয়েছেন র্যাব সদস্যরা। তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চৌকিগুলো পার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

কারাগারের মূল ফটক থেকে অন্তত ২০০ গজ দূরে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য স্থান করে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যম কর্মী কারাগারের সামনে গিয়ে উপস্থিত হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিকে, শুক্রবার রাতে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ কাশিমপুর কারাগার এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, কাশিমপুর কারাগারে মীর কাশেমের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসামি রয়েছে। আর এসব কারণে কারাগার ও আশপাশে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি কারাগারে প্রবেশের একমাত্র সড়কে বসানো হয়েছে একাধিক নিরাপত্তা চৌকি। ফাঁসিকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।

পুলিশ সুপার জানান, শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে কারাগার পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে কোনো যানবাহনকে দাঁড়াতে দেয়া হবে না। সড়কের পার্শ্ববর্তী রাস্তাগুলোর মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। উঁচু ভবনগুলোতে বিশেষ নজরদারি করা হবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে কারাগার পর্যন্ত কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকি বসানো হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে গাজীপুরের পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

আমিনুল ইসলাম/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।