প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে আরো সময় চান মীর কাসেম


প্রকাশিত: ০৫:৫৮ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের জন্য আরো সময় চেয়েছেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জেল সুপার জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মীর কাসেম আলীকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি প্রাণভিক্ষা চাওয়ার জন্য আরো কিছু সময় চেয়েছেন। তবে সেই সময় কতটা তা নিশ্চিত করে তিনি কিছু জানাননি।

তিনি জানান, এ সময়টা আর কতটুকু দেয়া হতে পারে সেটা সরকার ও কারা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে বুধবার রাতে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন কারাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য যৌক্তিক সময় পাবেন।

যৌক্তিক সময় কতটুকু এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে উনি যখন যে উত্তর দিচ্ছেন, সেটার ওপর। উনি যখন সময় চাইবেন এটার পেছনে ওনার একটা যুক্তি থাকতে হবে। যদি আমরা মনে করি সেটা যুক্তিসঙ্গত তবে সে অনুযায়ী সময় দেয়া হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা কাশিমপুর কারা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ কারা অভ্যন্তরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়া কারাগারের বাইরে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়।

বুধবার বিকেলে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন কারাফটকে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তার স্বামী মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্তের জন্য তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার ছেলে ২২ দিন ধরে নিখোঁজ।

তিনি আরো জানিয়েছিলেন, মীর কাসেম আলী সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। এই দেখাই শেষ দেখা নয়। শেষ কাজগুলো কেমন হবে? শেষ কাজগুলো আমরা কীভাবে করবো সে পরামর্শের জন্যই এসেছি।

মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এসে পৌঁছে। রাত অনেক বেশি হওয়ায় মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শোনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পড়ে শোনানো হয়।

৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি। গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়।

আমিনুল ইসলাম/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।