ছেলের জন্য অপেক্ষা করছেন মীর কাসেম


প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬

মানবতাবিরোধী অপরাধের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন বিষয়ে আলোচনা করতে ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমকে ফেরত চেয়েছেন।

বুধবার বিকেলে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানিয়েছেন তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।

বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী, দুই মেয়ে, দুই পুত্রবধু, এক ভাতিজা ও ৪ শিশু কারাগারে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিকেল পৌনে চারটার দিকে কারাগার ত্যাগ করেন।

সাক্ষাৎ শেষে কারা ফটকে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, আজ মীর কাসেম আলী সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। এই দেখাই শেষ দেখা নয়। শেষ কাজগুলো কেমন হবে? শেষ কাজগুলো আমরা কিভাবে করবো সে পরামর্শের জন্যই এসেছি।
 
তিনি বলেন, আজ ২২ দিন ধরে আমার ছেলেক পাচ্ছি না। সাদা পোশাকধারী লোকেরা তাকে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে আমরা তার সম্পর্কে কিছু জানিনা। মীর কাসেম আলী সাহেবের ব্যাপারে কোনো কথা বলার আগে, কোনো কিছু সিদ্ধান্ত দেয়ার আগে আমাদের ছেলেকে আমরা ফেরত চাচ্ছি। কারণ আমাদের ছেলেই আমাদের আইনজীবী ছিল। তাই তার পরামর্শ আমাদের খুব বেশি দরকার। ছেলেকে পেলেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিব ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমাদের ছেলে একজন আইনজীবী এবং পরিবারের একজন তাই পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে জানানোর কথা। আমরা অপেক্ষা করছি, ছেলেকে পাওয়া যায় কি না।

সেসময় কি আপনাদের দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি সময় শেষ হয়ে যায় সেটা ভিন্ন কথা। যতক্ষণ সময় আছে আমি অপেক্ষা করতে চাই। এসময় ছেলেকে পাওয়ার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
 
তিনি বলেন, অন্তত বাবার শেষ মুহুর্তে ছেলে কাছে থাকা অত্যন্ত জরুরী। যদি ছেলেকে না পাই আমরা মনের সন্তুষ্টির সঙ্গে বিদায় দিতে পারবো না। তাই এখন আমাদের একমাত্র ইস্যু ছেলেকে কাছে পাওয়া।

মীর কাসেম আলী তাকে বলেছেন, আমি অপেক্ষা করছি ছেলের জন্য। মতামত জানানোর জন্য আগে আমি ছেলেকে কাছে পেতে চাই।

এসময় তিনি তার ছোট দুটি নাতনীকে সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, তারা তাদের বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। তারা বাবাকে ফেরত চায়।
 
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শুনানো হয়েছে। রায় পড়ে শোনানোর পর তাকে কিছুটা চিন্তিত ও চোখে মুখে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন সংক্রন্ত বিষয়ে সময় চেয়েছেন বলে কারা সূত্র জানায়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, বুধবার দুপুর পৌনে দুইটায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে কারাগারে আসেন মীর কাসেম আলীর স্ত্রীসহ পরিবারের ৬ সদস্য। প্রায় ৪৫ মিনিট সাক্ষাৎ শেষে বিকেল ৪টার দিকে তারা কারাগার ত্যাগ করেন।

কারা সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন করবেন কি না এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে মীর কাসেম আলী সময় চেয়েছেন। তার এ সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।