দাদির ভিক্ষার টাকায় চমক দেখালো নাতি


প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৬

দাদি সারাদিন ভিক্ষা করে যা আয় করেছে নাতি মেহেদী হাসান ইমন সেই টাকায় পড়ালেখা করেছে। কোনো বাধাই তাকে আটকাতে পারেনি। তবে দাদির ভিক্ষা করা টাকায় চমক দেখিয়েছে ইমন।

সে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ঝিকরগাছার রঘুনাথনগর মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শাখা থেকে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

ইমনের বয়স যখন দেড় বছর, তখন মা কুলসুম খাতুন তাকে রেখে চলে যান। এর কিছুদিন পর বাবা ছিদ্দিক হোসেনও তাকে ফেলে চলে যান। তাদের বাড়ি ঝিকরগাছার নারাঙ্গালী গ্রামে।

এরপর থেকে দাদা-দাদির কাছে বড় হতে হয়েছে ইমনকে। দাদা নুর ইসলাম ও দাদি আছিয়া খাতুনের সম্বল ছিল একটি খুপড়ি ঘর। অভাবের সংসারে নাতিকে নিয়ে কোনো মতে চলে তাদের সংসার। ইমনের বয়স যখন ১০/১২ বছর তখন তার দাদা মারা যান।

এরপর আরো অসহায় হয়ে পড়েন দাদি আছিয়া খাতুন। একপর্যায়ে নাতিকে নিয়ে সংসারের হাল ধরতে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন তিনি। আর তা দিয়েই লেখাপড়া চলতে থাকে ইমনের। পাশাপাশি ইমনও প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের খরচ জুগিয়েছে। সে এসএসসিতেও গোল্ডেন-৫ পেয়েছে। সে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি লাভ করেছে। অথচ ইমনের সেই খুপড়ি ঘরে ছিলো না কোনো বিদ্যুৎ। সন্ধ্যা হলেই বৃদ্ধা দাদি কুপি জ্বালিয়েছেন ইমনের জন্য। সেই কুপির আলোর পাশে বসে থাকতেন দাদি পড়তো ইমন।

ইমনের ব্যাপারে রঘুনাথনগর মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক মহসিন আলম মুক্তি জানান, ইমন ২০১৫ সালের উপস্থিত বক্তৃতায় উপজেলার সেরা হয়েছিলো।

ইমন জানায়, সে ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হতে চায়। কিন্তু তার এই ইচ্ছা নিয়ে চিন্তিত বৃদ্ধা দাদি আছিয়া খাতুন।

এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।