মধুপুরে `বন্দুকযুদ্ধে` নিহত দুই যুবক জেএমবির সদস্য


প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৬

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই যুবকের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। সোমবার নিহত ওই দুই যুবক জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য বলে ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এদের মধ্যে নিহত জেএমবি সদস্য মাহফুজুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহ ও অপর জঙ্গি মোকসেদুল ইসলামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। এছাড়া মাহফুজুর রহমান ২০১১ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার বিস্ফোরক মামলার পলাতক আসামি ও মোকসেদুল ইসলাম কালিহাতী থানার এজাহারভুক্ত আসামি।
 
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ জানান, রোববার ভোরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার টেলকিবাজার নামক এলাকায় ডিবি পুলিশের টহলরত একটি দলের গুলিতে নিহত হয় মোটরসাইকেল আরোহী সন্দেহজনক দুই যুবক।

এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার কানাইপাড়া গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে জেএমবি সদস্য ও ডিবি পুলিশের গুলিতে নিহত মাহফুজুর রহমান ওরফে সোহেল ওরফে বিজয় ওরফে সুজন ওরফে শুভ ও ওরফে জয় ২০১১ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার বিস্ফোরক মামলার পলাতক আসামি। তার স্ত্রী জেএমবি সদস্য রোমানা আক্তার রুমা গত ২৩ জুলাই সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশে আটক হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলহাজতে রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত অপর জঙ্গি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলা ও বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম রাঘবপুর ভুতমারা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে ও জেএমবি সদস্য মোকসেদুল ইসলাম ওরফে মোজাম্মেল ওরফে হারেস গত ৫ জুলাইয়ের কালিহাতী থানার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি। তার স্ত্রী ও জেএমবি সদস্য রোজিনা বেগমকে গত ৫ জুলাই বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও জিহাদি বইসহ আটক করে কালিহাতী থানা পুলিশ। বর্তমানে সে টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছে।

এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় রোববার টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ হোসেন বাদী হয়ে নিহত দুই জঙ্গিসহ বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেছেন। অজ্ঞাত পরিচয়ে নিহত দুই যুবকের মরদেহ টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে রোববার রাতে দাফন করা হয়েছে।

আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।