দৌলতদিয়া ঘাটে বাড়তি চাপ নেই
পবিত্র ঈদ উল ফিতরের আর মাত্র বাকি দুই দিন। নাড়ির টানে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ির পথে লাখো মানুষ।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট। এ পথ দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী ফিরছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। রবিবার সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও ঘাটে পর্যাপ্ত লঞ্চ ও ফেরি থাকায় তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না যাত্রীদের।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে মোট ৩৬টি লঞ্চ ও ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে রো-রো ফেরি ৮টি, কে-টাইপ ফেরি ৩টি, ইউটিলিটি ফেরি ৬টি।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা রাজধানী ঢাকা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন। পথে তাদের কোন সমস্যা হয়নি। কোন যানজটেও পড়তে হয়নি। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে না। তবে যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।
নজির এক্সপ্রেসের চালক মো. মিন্টু মিয়া জানান, প্রতি ঈদের তুলনায় এবার যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম। এবার তারা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছেন না। নদীতে স্রোত কম থাকায় পারাপারে সময়ও কম লাগছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিক আহম্মেদ জানান, নদীর নাব্যতা ঠিক থাকলে এবং ১৬টি ফেরি নির্বিঘ্নে চলাচল করলে ঈদের আগে ও পরে দৌলতদিয়া ঘাটে কোন যানজটের সৃষ্টি হবে না।
তিনি আরও জানান, এবার বাড়তি ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিষয়ে বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর-১ গোপাল কৃষ্ণ মিস্ত্রী জানান, দৌলতদিয়ায় বাইপাস সড়ক এবং ফোরলেন সড়ক প্রশস্ত ও রাস্তার মান ভাল হওয়ায় বাসগুলো নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে। ফলে দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট বা হয়রানির কোন চিত্র নেই।