শরীয়তপুরে বন্যায় ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ


প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৬

শরীয়তপুরে বন্যায় চারটি উপজেলার ৬৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। এতে করে বন্যাদুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে পানিবাহিত রোগ। অন্যদিকে, বন্যার তোপের মুখে ভেসে যাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।  

জেলার জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেরার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত, সঙ্গে পদ্মা ও মেঘনার ভাঙন। চারটি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজসহ প্রায় ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জাজিরা উপজেলার মঙ্গল মাঝিরঘাট এলাকা প্লাবিত হওয়ায় শরীয়য়তপুর ও ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক আর এক ফুট পানি হলেই তলিয়ে যাবে। এই চারটি উপজেলায় ভেসে গেছে ফসল ও পুকুরের মাছ।

Shariatpur-Bonna

বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, বন্যা ও ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জিআর ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী একে এম এনামুল হক জানান, বন্যা পরিস্থিতি আজকে স্থিতিশীল। পদ্মা নদীতে সুরেশ্বর পয়েন্টে ১০ সে.মি. ও জাজিরা পয়েন্টে ১৫ সে.মি. বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

Shariatpur-Bonna

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মসিউর রহমান টগর বলেন, নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য নদী ভাঙন এলাকায় মেডিকেল টিমের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনদের নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের মাঝে ৫০ মেট্রিক টন জিআর এবং চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ছগির হোসেন/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।