জামালপুরে পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ


প্রকাশিত: ০৯:৩০ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৬

ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে চার উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি, চিনাডুলি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া, সাপধরী, পার্থশী, দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি, চুকাইবাড়ি, মাদারগঞ্জের বালিজুড়ী, চরপাকেরদহ, কড়ুইচুড়া, জোড়খালী এবং মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

jamalpur-bonna

বন্যার পানি নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক এবং ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ। বসতঘরে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় বিভিন্ন বাঁধ এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা দুর্গতরা। সেই সঙ্গে দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। তবে প্রতিদিন বন্যার পানি নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সেই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে দুর্গত এলাকার মানুষ।

এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, বন্যা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিতরণের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

শুভ্র মেহেদী/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।