মরার আগে গেজেটে নামটা দেখতে চাই
একসঙ্গে যুদ্ধ করে সহকর্মীদের গেজেটে নাম উঠলেও আমার নামটা গেজেটে আজও ওঠেনি। মৃত্যুর আগে ভাতা নয়, গেজেটে নামটা দেখে মরতে চাই। অনেক আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল।
তার সহযোদ্ধাদের মধ্যে গড়াইটুপির মরহুম সাবদার হোসেন, মোহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম অ্যাড. আইয়ূব হোসেন, খেজুরতলার মরহুম ফুটান, ধোপাবিলা গ্রামের আনসার, আবু তৈয়ব, আব্দুলসহ আরও অনেকেই ছিলেন বলে জানালেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে প্রমাণাদি দেখিয়ে বলেন, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধূরী স্বাক্ষরিত সনদও তার রয়েছে (যার নং-৫৪১৪২)। মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি থেকেও তার সনদ প্রদান করা হয়েছে যার নং ৫৮৩৭।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল জানান, ১৯৭১ সালে তার বয়স যখন ১৯ বছর তখন তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তার কমান্ডার ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার সলুয়া গ্রামের ওয়াজেদ আলী। তার নেতৃত্বে তিনি কোটচাঁদপুরের ধোপাবিলা, চুয়াডাঙ্গার খেজুরতলা, গড়াইটুপি, বংকিরা, গোবিন্দপুর ও রাঙ্গিয়ারপোতা এলাকায় সক্রিয় ছিলেন।
ছোট ছেলে জিয়ারুল জানান, তার বাবা গেজেটে নাম ওঠানোর জন্য ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর কাছে দরখাস্ত করেন। ২০১১ সালের ৯ মার্চ প্রতিমন্ত্রী ১২৮৯ নং স্মারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিবকে নোট দিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছর পার হলেও কোনো সাড়া নেই।
উল্লেখ্য, আব্দুল জলিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মৃত ছানারুদ্দীনের ছেলে। তিনি ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি সাধুহাটি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও জিয়ার সঙ্গে থাকেন।
আহমেদ নাসিম আনাসারী/এফএ/এমএস/এমএফ