বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়িটি সিলেটে


প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৬

এযাবৎকালে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি হিসেবে আলোচনার ঝড় তুলেছে সিলেটের ‘কাজি ক্যাসল’।

বাড়ির মালিক মাহতাবুর রহমান একজন ব্যবসায়ী। সিলেটের ইসলামপুর এলাকায় বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে।

Sylhet

২০০৮ সাল থেকে চার দেশের প্রকৌশলীরা প্রায় আড়াইশ শ্রমিক দিয়ে তিনতলাবিশিষ্ট এই বাড়িটি নির্মাণ করেছেন।
তিনতলার এই বাড়িটির বিল্ডার এরিয়া প্রায় ৮০ হাজার স্কয়ার ফিট। পাঁচ হাজার মানুষের অনুষ্ঠান করার বন্দোবস্ত আছে এই বাড়িতেই। পারিবারিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রয়েছে পৃথক কক্ষ।

Sylhet

প্রায় আট একর জায়গার ওপর নির্মিত এই বাড়িটির ছাদে রয়েছে হেলিপ্যাড, সুইমিংপুল, স্টিমবাথ, লিফটসহ আধুনিক স্নানাগার। ২৯টি মাস্টার বেডের ডিজাইন করা হয়েছে ২৯টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে।

Kazi

দুবাই, ফ্রান্স, লেবানন ও জার্মানি- এই চার দেশের প্রকৌশলী দ্বারা বাড়িটি নির্মাণ করা হয়।

Kazi-Top

ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান বলেন, দুবাই থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসেছিলাম। তিনি প্রথমে ডিজাইনটা করেছিলেন। পরবর্তীতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনটা দিয়েছিলাম একজন লেবানিজকে। পুরো বাড়িটির লাইটিংয়ের কাজ করেছেন জার্মানের কোম্পানি টিফেনি লাইটিং। আর ফ্লোরগুলো করে দিয়েছে ফ্রান্সের একটি কোম্পানি।

Sylhet

জানা যায়, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে এই বাড়িটি। নির্মাণব্যয় নিয়ে বাড়ির মালিক মাহতাবুর রহমান বলেন, আমি নিজের ব্যবহারের জন্য বাড়ি করেছি, তাই এটা নির্মাণে কত ব্যয় হয়েছে আমি তা হিসাবে করে দেখিনি।

Kazi

মাহতাবুর রহমান জানান, ২৯টি মাস্টার বেডের ডিজাইন করা হয়েছে ২৯টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে। ভবনের শুধু নিচতলায় রয়েছে ৯টি ডাইনিং রুম, ১৪টি ড্রইং রুম, আছে দুটি লিফট।

Sylhet

বাড়ির ভেতরে সৌদি আরবের ওয়াকফ মিনিস্ট্রির উপহার দেওয়া পবিত্র কাবা শরিফের দরজার রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে অতি যত্ন করে। কেউ সরাসরি না দেখলে বোঝানো যাবে না এই বাড়ির সৌন্দর্য ও মাহাত্ম্য। ‘কাজি ক্যাসল’ নামের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ঢুকলেও জানা যাবে এই বাড়ির খুঁটিনাটি।

Kazi

উল্লেখ্য, ‘কাজি ক্যাসল’-এর স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড আল-হারামাইন পারফিউমস গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক টানা তিনবার সিআইপি নির্বাচিত হন। মাহতাবুর রহমান ২০১৩ ও ১৪ সালে বাংলাদেশে সর্বাধিক রেমিট্যান্স পাঠানোর স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

এমএএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।