ঝাঁড়ফুকের পর শ্মশানে নেয়া হলো প্রদীপকে


প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৬

ঝাঁড়ফুকেও প্রাণ ফিরে পেল না ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলার হাট এলাকার প্রদীপ কুমার বর্মন (২০)। বিশহরী দেবীকে সন্তুষ্ট করা গেলে বর প্রদীপ প্রাণ ফিরে পাবে এই বিশ্বাসে শুক্রবার সারাদিন মাহাত-কবিরাজ দিয়ে ঝাঁড়ফুক করেছে তার আত্মীয়-স্বজনরা।

দিন শেষে প্রদীপের শেষ ঠিকানা হয় শ্মশান ঘাটে। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
 
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে সদর উপজেলার আরাজি দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের বিনয় চন্দ্র রায়ের পুত্র প্রদীপ চন্দ্র রায় (২০) পার্শবর্তী ছুট খড়িবাড়ি গ্রামের সন্তোষ চন্দ্র বর্মনের কন্যা প্রতীমা রানীকে (১৮) বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

বৃহস্পতিবার সারাদিন বৌভাত শেষে রাত ৪টার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বর ও কনে বাসরঘরে যায়।

শুক্রবার সকালে বর ঘুম থেকে না ওঠায় বাড়ির লোকজন তাকে ডাকাডাকি শুরু করে। একপর্যায়ে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রদীপকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলে পরিবার-পরিজন প্রদীপের মৃত্যুকে না মেনে সেটা বিশহরী দেবীর কাজ ভেবে তাকে পুনরায় বাঁচিয়ে তুলতে পূজার্চনা ও ঝাঁড়ফুক শুরু করে। শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকজন লাশের হাতে পায়ে তেল মালিশ চালাতে থাকে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে লাশ নিয়ে টানাহেঁচড়া।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হিন্দু ধর্মে এসব ঝাঁড়ফুক বিশ্বাস করে। তাই সারাদিন চেষ্টা করা হয়েছিল।

রবিউল এহসান রিপন/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।