গুলশান হামলার আগে ৪ মাস ঝিনাইদহে ছিল নিবরাস
গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার চার মাস আগে নিবরাস ইসলাম ঝিনাইদহের একটি মেসে সাইদ ছদ্মনামে অবস্থান করেছিল বলে জানা গেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান তাকে ঝিনাইদহে মেস ঠিক করে দেন। আর হামলার পাঁচদিন আগে নিবরাস মেস ছেড়ে চলে যায়।
তাকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ৬ জুলাই (ঈদের আগের দিন) রাতে সন্দেহভাজন তার পাঁচ সহযোগীকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয়রা নিবরাসকে সাইদ নামে চিনতো। সে ভালো ফুটবল খেলতো, কম কথা বলতো, মুখে দাঁড়ি এবং সুদর্শন ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের ঠিক আগের রাতে ওই মেসে হানা দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তারা নিবরাসের ঘর তল্লাশি করে এবং বাড়ির মালিক কাওসার আলীসহ তার দুই ছেলে বিনছার ও বিনজিরকে আটক করে। এ সময় মসজিদের ঈমাম রোকনুজ্জামান রোকন ও হাফেজ সাব্বির নামে আরও দুজনকে আটক করে।
মেসের মালিক কাওসারের স্ত্রী বিলকিস নাহার জানান, ঝিনাইদহ শহর থেকে প্রায় ২ কি.মি. দূরে পৌরসভার ৩ নং পানির ট্যাঙ্কি এলাকার সোনালী পাড়ায় বসবাস করেন সাবেক সেনা সার্জেন্ট কওসার আলী। গত চার মাস আগে তার বাসায় মেস ঠিক করে দিয়েছিলেন ওখানকার মসজিদের ইমাম ইবি ছাত্র রোকনুজ্জামান রোকন। ছদ্মবেশে সাইদ নামে অবস্থানকারী নিবরাস ২৮ জুন মেস ছেড়ে চলে যায়। হলি আর্টিসান হত্যাকাণ্ডের পর ঈদের আগের দিন রাতে নিবরাসের সেই মেস থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওই পাঁচজনকে আটকের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
আহমেদ নাসিম আনসারী/এসএস/পিআর