প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত পাল পরিবারগুলো


প্রকাশিত: ০৪:৫২ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৬

শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে শরীয়তপুরের পাল পরিবারগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিমা গড়ায়। দুর্গার সঙ্গে একই উৎসবে পূজার জন্য তৈরি হচ্ছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক, অসুর, বাঘ, সিংহ, মহিষ ইত্যাদি প্রতিমাও।
 
জেলার সদর উপজেলার কোটাপাড়া, কালি খোলা, গঙানগর, ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর ও ডামুড্যা উপজেলার কাইলারা এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, পাল পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত।

Shariatpur
 
সদর উপজেলার কোটাপাড়ার মৃৎশিল্পী গোবিন্দ পাল বলেন, এ ব্যবসায় এখন আর সংসার চলে না। যা আয় হয় তা দিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হয়। প্রতি বছর দেশের চট্রগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে প্রতিমা গড়ার কাজ করে থাকি। একটি প্রতিমা তৈরি করতে ৮ থেকে ১০দিন সময় লাগে।

ডামুড্যা উপজেলার কাইলাড়ার মৃৎশিল্পী মদন পাল বলেন, একটি বিগ্রহ তৈরিতে প্রায় ৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। আমরা প্রতিটি প্রতিমা থেকে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা লাভ করে থাকি।

Shariatpur

মৃৎ শিল্পের কারিগর লক্ষ্মণ পাল বলেন, নিতাই পাল, হরি পাল ও পরিতোষ পালকে নিয়ে গোবিন্দ পালের চাকায় কাজ করছি। ভাদ্র-আশ্বিন মাসেই কাজের চাপ একটু বেশি থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে। তাই লাভও কমে গেছে।

জোসনা রানী পাল ও স্বর্ণা রানী পাল বলেন, মূর্তি তৈরির জন্য খড়, বাঁশ বা কাঠ, পেরেক, দড়ি, বেলে দোয়াশ মাটি ও খড়ি দরকার হয়। প্রতিমা গড়ে রোদে শুকিয়ে বিভিন্ন রঙের পরশে শাড়ি ও গহনার রঙ করে থাকি। কোথাও কোথাও শাড়িও পরানো হয়।

এফএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।