চার বছরেও হয়নি ফেলানী হত্যার বিচার


প্রকাশিত: ০২:২৮ এএম, ০৭ জানুয়ারি ২০১৫

আজ ৭ জানুয়ারি বুধবার ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ২০১১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে ৯৪৭নং আন্তর্জাতিক পিলারের ৩নং সাব পিলারের পাশে ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। ওইদিন বাবা নূর ইসলামের সাথে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে। এরপর ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে ময়না তদন্ত শেষে ৮ জানুয়ারি বিএসএফ ওই কিশোরীর লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানার কলোনীটারী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় ফেলানীকে।

এদিকে গত চার বছর ধরে ফেলানী হত্যার বিচারের আশায় আশা-নিরাশার দোলায় দিন কাটছে তার পরিবারের। কন্যার মর্মান্তিক মৃত্যুর শোক আজো ভুলতে পারেননি  ফেলানীর মা জাহানারা বেগম ও বাবা নূর ইসলাম। নানা অজুহাতে একাধিকবার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় মেয়ে হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশ হলেও হাল ছাড়েননি তারা।

জানা গেছে, ঘটনার ২ বছর ৮ মাস ২৬ দিন পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহার জেলার বিএসএফ’র ১৮১ সদর দপ্তরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু হয়। ১৯ আগস্ট ফেলানীর বাবা নূর ইসলাম ও মামা আ. হানিফ সাক্ষ্য দেন। বিএসএফ’র আসাম ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (কমিউনিকেশন্স) সিপি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বিচারক বেঞ্চ কঠোর গোপনীয়তায় বিচার পরিচালনা শেষে ৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এ রায় প্রত্যাখ্যান করে ১১ সেপ্টেম্বর ফেলানীর বাবা ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারকে ন্যায়বিচারের আশায় চিঠি দিলে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ২৬ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে আদালত মুলতবি করা হয়। ১৭ নভেম্বর পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এক পর্যায়ে গত ২২ নভেম্বর আদালত চলাকালীন অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিচার কাজ ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।