কুড়িগ্রামে বন্যায় শতাধিক চর প্লাবিত


প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ২৫ জুন ২০১৬

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল আর ভারী বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে আগাম বন্যা।

গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর। এতে করে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার প্রায় শতাধিক চর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

পানিবন্দী রয়েছেন অন্তত ১০ হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ। পাশাপাশি পাট, সবজি, কলা ও আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুর ও জলাশয়ের মাছ।

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, উলিপুরের সাহেবের আলগা, হাতিয়া, চিলমারীর রানীগঞ্জ, অষ্টমীর চর, নয়ারহাটসহ  কয়েকটি ইউনিয়নের চর গ্রামগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে সকাল ৬টার রেকর্ড করা তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি ১০ সে.মি বেড়ে বিপদ সীমার কাছাকাছি রয়েছে। এ সময় দুধকুমারে ৩৩ সে.মি. এবং ও ব্রহ্মপুত্রে ২৪ সে.মি.পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তিস্তা নদীর পানি ১ সে.মি. কমেছে।

ধরলা নদীর ব্রিজ পয়েন্টে ২৬.২১ সে.মি., দুধকুমার নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৫.৮১সে.মি., ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ২৩.৩৬ সে.মি. এবং তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮.২১ সে.মি. পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
      
জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে। বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে।

নাজমুল হোসেন/এসএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।