শার্শায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার
গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, তারপরও থেমে নেই ঈদ বাজার। মার্কেটে ভিড়, চড়াও দাম এড়াতে মধ্যবিত্তরা আগে ভাগেই সেরে ফেলতে চাইছেন কেনাকাটা। কিন্তু শুরুতেই ঈদের বাজার খানিকটা চড়া। তবে শত অভিযোগের পাশ কাটিয়ে বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি জানান দিচ্ছে ঈদ কেনাকাটার।
যশোরের বেনাপোল, শার্শা ও নাভারনের বিভিন্ন মার্কেটে সরেজমিনে দেখা গেছে, আকর্ষণীয় পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে প্রতিটি দোকানেই। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে সব কটি বিপণি বিতান।
প্রায় সর্বত্রই ভারতীয় ডিজাইনের কাপড় ও শাড়ির সংগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের কাশ্মিরী ডিজাইন, সিকোয়েন্সের কাজ, জরি-সুতোর বাহারি নকশার শাড়ি, পাকিস্তানি ঝলমলে কাপড়ে বাহারি সুতোর কাজ করা কাপড়, উজ্জ্বল রঙের জর্জেট, টিস্যু প্রভৃতি কাপড়ে জরি, চুমকি, সুতি কাপড়ে দেশীয় আল্পনার সুতো, এপিক ও স্ক্রিন-বুটিক-বাটিকের পোশাক সম্ভার দারুণ আকর্ষণ করেছে ক্রেতাদের।
পুরুষদের জন্য দেশি ব্রান্ডের মধ্যে ফেইথ-১১, ক্যাটস আই, মনসুনরেইন, নেক্সট, শীতল, পাস পয়েন্ট, রঙ, রেক্স, সপুরা সিল্ক, হ্যান্ডিবাজার, প্রভৃতির সঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবি, চীন-থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ডিজাইনের শার্ট-প্যান্ট ও টি-শার্টের সমাহার উল্লেখ করার মতো।
দোকানিরা জানান, ঈদ বাজার এরই মধ্যে জমজমাট হয়ে উঠেছে। তারা আশা করছেন, ভিড় এড়াতে মার্কেটে আসা মানুষের এই দেখাদেখি বেশি দিন চলবে না। বিশেষ করে চাকরিজীবীদের হাতে বেতন-বোনাসের টাকা আসলেই কেনাকাটার পুরোদমে ধুম পড়বে।
ক্রেতারা জানান, প্রতি বছরই এক শ্রেণির ক্রেতা রোজার আগে বা শুরুর দিকে কেনাকাটা করে ফেলেন। তাদের কথা মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে ঈদ পণ্যগুলো দোকানে তুলেছেন বিক্রেতারা। তবে তাদের অভিযোগ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মতোই সব ধরনের কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হাঁকা হচ্ছে।
জামাল হোসেন/এআরএ/এমএস