কাগজপত্র জটিলতায় ত্রিপুরায় যায়নি ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান


প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ১৭ জুন ২০১৬

উদ্বোধনের পরও ট্রান্সশিপমেন্টে পণ্যের প্রথম চালান এখনো ভারতের ত্রিপুরায় পৌঁছেনি। জাহাজ থেকে পণ্য আনলোড না হওয়া, কাগজপত্র প্রক্রিয়া এবং ট্রাক জটিলতার কারণে পণ্য পরিবহন শুরু করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে আশুগঞ্জ নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিআইব্লিউটিএর আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. শাহআলম সাংবাদিকদের জানান, ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পণ্য জাহাজ থেকে পুরোপুরি আনলোড করা হয়নি এবং কাগজপত্র ও ট্রাক নির্ধারণ না হওয়ায় পণ্য পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়নি। এছাড়াও শনিবার কাস্টমস খোলা থাকলেও সকল প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে না। তবে সোমবার থেকে পণ্য পরিবহন শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকল (পিআইডব্লিউটিট) চুক্তির আওতায় ভারতীয় এক হাজার ৪ মেট্রিক টন লৌহজাত পণ্যবাহী এমভি নিউটেক-৬ কার্গো জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করে। আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে খোলা ট্রাকে করে এই মালামাল পরিবহন করা হবে।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় এসব পণ্য পরিবহনে প্রতি টনে ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে মাশুল আদায় করা হবে। এছাড়া ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট ফি, বার্দিং (অবস্থান) ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চার্জ ও লেবার হোলিং চার্জসহ জাহাজটি থেকে বাংলাদেশ পাবে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৫ টাকা।

এর আগে দুই দফায় বিনা মাশুলে বিশেষ মানবিক কারণ দেখিয়ে ভারতের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারি যন্ত্রাংশ, কেমিক্যাল পদার্থ ও খাদ্য পণ্য চাল ত্রিপুরা রাজ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট করা হয়েছে। এবারই প্রথম মাশুল দিয়ে এক হাজার ৪ মেট্রিক টন লৌহজাত পণ্য আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় নেয়া হবে।

আজিজুল সঞ্চয়/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।