বিশেষ নজরদারিতে ঝিনাইদহের ৩৬৫টি পূজা মন্দির


প্রকাশিত: ০৪:২৮ এএম, ১৭ জুন ২০১৬

ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলাতে রয়েছে ৩৬৫টি পূজা মন্দির। গত ৭ই জুন পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ঝিনাইদহের এ ৩৬৫টি মন্দির বিশেষ নজরদারির আওতায় নিয়ে আসে। একইসঙ্গে গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ের পুরোহিতসহ প্রধানদের নিরাপত্তার দিকে কড়া নজর রাখছে পুলিশ।

ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, পুরোহিতদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ পালাক্রমে ডিউটি করছে। মন্দিরের কর্মকর্তাদের কাছে পুলিশের মোবাইল নাম্বার দিয়ে যে কোনো সময় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ পুলিশের পক্ষ থেকে পুরোহিত হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধারের দাবি করা হলেও নিহতর পরিবার এ নিয়ে সন্তষ্ট নয়। তারা দৃশ্যমান ফলাফল দেখতে চান।

নিহত আনন্দ গোপালের স্ত্রী শেফালী গাঙ্গুলী, ছেলে অরুন গাঙ্গুলী, সিন্ধু গাঙ্গুলী, মেয়ে রিনা গাঙ্গুলী, মিনা গাঙ্গুলী ও আর্চনা গাঙ্গুলীসহ পরিবারের সদস্যরা সোমবার জানান, খুনিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তারা শান্তি পাচ্ছেন না।

স্ত্রী শেফালী গাঙ্গুলী কান্না ভেজা কণ্ঠে জানান, সরকারি সহায়তা আর মন্ত্রী এমপিদের আশ্বাস দিয়ে আমাদের কী হবে ? যদি স্বামী হত্যার খুনিরা গ্রেফতার না হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মহিষারভাগাড় বিলে আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী ওরফে নন্দকে (৭০) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আনন্দ গোপাল সদর উপজেলার কোরতিপাড়া গ্রামের মৃত সত্য গোপালের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডের পর আইএস দায় স্বীকার করে।

আহমেদ নাসিম আনসারী/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।