ঝিনাইদহে রোপা আমন ক্ষেতে পচন সংক্রমণ, দিশাহারা কৃষক

শাহজাহান নবীন
শাহজাহান নবীন শাহজাহান নবীন , জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ১১:২৯ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চলতি রোপা আমন মৌসুমে ঝিনাইদহের সব উপজেলায় ধানের ক্ষেতে বেড়েছে পচন রোগের সংক্রমণ। কীটনাশক ও পচনরোধক ওষুধ প্রয়োগ করেও মিলছে না সমাধান। ফলে ধানক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ধানের ফলন নিয়েও তাদের কপালে চিন্তার ভাজ। তবে এখন পর্যন্ত পচনরোগ বা মাজরা পোকার আক্রমণ খুব বেশি বাড়েনি বলে দাবি কৃষি বিভাগের।

সরেজমিনে জেলার সদর, শৈলকূপা, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানক্ষেতে পচন রোগের সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, পচনরোধক ওষুধ ও কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। রাতারাতি পচন রোগের সংক্রমণে ধানের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়বেন বলে দাবি কৃষকদের।

জানা গেছে, জেলার শৈলকূপা, সদর, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর, সব উপজেলাতেই একই পরিস্থিতি। ধান গাছের গোড়ায় পচন দেখা দিচ্ছে। অজানা পোকার আক্রমণে অনেক গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ধানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন:
দুই টাকার হোটেলে তৃপ্তির খাওয়া, মেন্যুতে থাকে গরুর মাংস-মাছ-ডাল
‘বাবা উঠো, মজা আইন্না দাও’ কবরের কাছে গিয়ে বলে ছোট্ট সাজিদুল

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলায় ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৯ মেট্রিক টন।

ঝিনাইদহে রোপা আমন ক্ষেতে পচন সংক্রমণ, দিশাহারা কৃষক

শৈলকূপা উপজেলার নাকোইল গ্রামের কৃষক এখলাস উদ্দিন বলেন, ধান রোপণের পর থেকে পচন রোগে অনেক গাছ মরে যাচ্ছে। বারবার কীটনাশক ব্যবহার করছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কেবল খরচ বাড়ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।

কোটচাঁদপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম বলেন, ধানের গোড়ায় পোকা ঢুকে গাছের ডগা ও পাতা কেটে দিচ্ছে। এতে ধানের গোছা মরে গিয়ে সাদা হয়ে গেছে। ধানের গোড়ায় পচা লেগেছে।

সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সেলিম উদ্দিন বলেন, ধান আবাদ করে সারা বছরের সংসার খরচ জোগাড় হয়। কিন্তু পোকার আক্রমণে এবার ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। কীভাবে কী করব বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের মাঠকর্মীরা নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। আমনের কাঙ্ক্ষিত ফলন নিশ্চিত করতে ও পচন রোগ দমনে কৃষক পর্যায়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই পচনরোগ সম্পর্কে প্রকৃত অবস্থা জানতে সরেজমিনে ধানক্ষেত পরিদর্শন শুরু করব। এখন পর্যন্ত আমন ধানে পোকার আক্রমণ নিয়ে গুরুতর তথ্য পাইনি।

এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।