দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত কলেজ শিক্ষক আশঙ্কামুক্ত


প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ১৫ জুন ২০১৬

দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাদারীপুরে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী (৪০) এখন আশঙ্কামুক্ত। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে একথা জানিয়েছেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. রুবেল।

অধ্যাপক রুবেল বলেন, মাদারীপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রিপন চক্রবর্তীতে শেবাচিম হাসপাতালে আনা হয়। অপারেশন থিয়েটারে প্রায় দেড় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করা হয়। অধ্যাপক রিপনের মাথা, ঘাড় ও হাত মিলিয়ে ধারালো অস্ত্রের ৭টি আঘাত রয়েছে। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ ঘটেছে। এখন তিনি অনেকটা আশঙ্কামুক্ত। তবে আগামী দিন পরীক্ষা করার পর বলতে পারবেন তার পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে।

দুর্বৃত্তের হামলায় আহত রিপন চক্রবর্তী বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিল্ব গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর ছেলে। তিনি মাদারীপুরে সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। মাদারীপুর কলেজগেট এলাকায় ছোট একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন।

রিপনের সঙ্গে হাসপাতালে অবস্থান করা চাচী শাশুড়ি জোছনা রায় জানান, রিপনের মাথায় ৪টি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া তার শরীরে আরো ৩টি আঘাত রয়েছে। রিপন এখন বিপদমুক্ত বলে চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন।

এক সময় রিপন চক্রবর্তীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনে মেডিকেলে ছুটে আসেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক, বিএম কলেজ অধ্যক্ষ ইমানুল হাকিমসহ তার সহকর্মীরা।

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, একজন নিরীহ শিক্ষককে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করা এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তিনি।

এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলেজগেট এলাকায় তার ভাড়া বাসার কলিংবেল চাপে তিন যুবক। তিনি দরজা খুললে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে তারা। এসময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এলাকাবাসী একজনকে আটক করেন। বাকি দুজন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত ওই শিক্ষককে স্থানীয়রা প্রথমে সদর হাসপাতালে নেন। পরে তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তার স্ত্রী গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মনিমালা রায় বলেন, তিনি বাড়িতে থাকায় ঘটনার ১৫ মিনিট পর ফোন পেয়ে স্বামীকে কুপিয়ে আহত করার বিষয়টি জানতে পারেন। তার স্বামীর সঙ্গে কারো কোনো শক্রতা নেই বলে জানান মনিমালা।

মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। গুপ্ত হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটক ফাইজুল্লাহ ফাহিম চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানান ওসি।

সাইফ আমীন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।