রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
মোহাম্মদ আকরাম হোসেন

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়ে মোহাম্মদ আকরাম হোসেন (২৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোরশেদ মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে তার এক সহযোদ্ধা রাশিয়া থেকে নিহত ওই যুবকের গ্রামের বাড়িতে এ খবর জানান।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দিনমজুর বাবার সংসারের সচ্ছলতা ও নিজের ভবিষ্যতের আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন আকরাম। এগারো মাস আগে ধারদেনা করে রাশিয়া যান তিনি। সেখানে যাবার পর আট মাস সেখানকার একটি চায়না কোম্পানিতে ওয়েল্ডার হিসেবে চাকরি করেন আকরাম। আড়াই মাস আগে দালালের প্রলোভনে পড়ে আকরাম রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ নেন। রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ছবিও নিজের ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার স্বপ্নের যাত্রা।

আকরামের বাবা মোরশেদ মিয়া জানান, কোম্পানিতে ভালো বেতন না পাওয়ায় দালালদের প্রলোভনে চুক্তিভিত্তিক যোদ্ধা হিসেবে আকরাম রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শর্ত ছিল যুদ্ধের সম্মুখ সারিতে থাকার। পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলেও আকরাম জানিয়েছেন তার আর ফিরে আসার উপায় নেই।

আকরামের মা মোবিনা বেগম জানান, যুদ্ধ চলাকালে ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হলেও ১৩ এপ্রিল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাশিয়ায় অবস্থানরত পরিচিতজনরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

শুক্রবার তার এক সহযোদ্ধা ফোন করে জানান, যুদ্ধে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মিসাইল হামলায় আকরাম নিহত হয়েছেন। ফোনে জানানো হয়, আকরামের ইউনিটের কয়েকজন যোদ্ধা ইউক্রেন বাহিনীর মিসাইল হামলায় মারা গেছেন।

এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, পরিবার প্রথমে মরদেহটি কোথায় আছে সেটি শনাক্ত করতে হয়। সেই অনুযায়ী কাগজ পত্র সংগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পর উনারা ব্যবস্থা নিবেন।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।