ভোট দিতে গেলেন না বিএনপির প্রার্থী
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী মতিয়ার রহমান নিজের ভোট দিতেও কেন্দ্রে আসেননি। কোনো ভোট কেন্দ্রে ছিল না তার পোলিং এজেন্ট।
গতকাল শুক্রবার থেকেই তিনি নির্বাচনী এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানাগেছে। তবে টেলিফোনে ওই প্রার্থী জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এজন্য ভয়ে তিনি এলাকায় আসেননি।
জানা গেছে, এর আগে যাচাই বাছাইয়ে মতিউর রহমানের মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর আওয়ামী লীগ প্রার্থী মতিন মোল্লাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে গত ২২ মে মতিয়ার রহমান হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। তারই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারক কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং রাজিক-আল-জলিলের যৌধ বেঞ্চ ২৬ মে মতিয়ার রহমানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন।
ভোটের আগের দিন শুক্রবার তাদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেয় নির্বাচন কমিশন।
শনিবার সরেজমিনে দিঘী ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট রয়েছে। কিন্তু বিএনপির প্রার্থীর কোনো এজেন্ট নেই। সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানান, বিএনপির প্রার্থী কোনো এজেন্ট দেয়নি।
মোবাইল ফোনে বিএনপির প্রার্থী মতিয়ার রহমান জানান, প্রার্থিতা নিয়ে রিট করার পর থেকেই তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। ভোটের দিন এলাকায় আসলে জানে মেরে ফেলা হবে এমন হুমকি দেয়া হয়েছে। এ কারণে
ভয়ে তিনি ভোট দিতে যাননি। কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় এজেন্ট দিতে পারেননি বলে স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে দলের বক্তব্য জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রীতার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী মতিন মোল্লা জানান, বিএনপি প্রার্থীকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বানোয়াট গল্প বলছেন তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে দুটো ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত থাকায় ৮টিতে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
বি.এম খোরশেদ/এমএএস/এমএস