ময়মনসিংহ
মিনি চিড়িয়াখানার অসুস্থ ভালুক যাচ্ছে সাফারি পার্কে

ময়মনসিংহের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় থাকা অসুস্থ ভালুকটিকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই দেওয়া হবে চিকিৎসা।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা চিড়িয়াখানায় যান।
এসময় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক জানিয়েছেন, অসুস্থ ভালুকটিকে জব্দ করে মিনি চিড়িয়াখানায় রেখে এলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। প্রাণীটিকে বাঁচিয়ে রাখতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। সেজন্য দুটি ভালুক ছাড়াও চিড়িয়াখানার জিম্মায় রাখা অন্য প্রাণীগুলোও নিয়ে যাওয়া হবে। সেগুলোকে গাজীপুরের সাফারি পার্কে রাখা হবে। ভালুকটির উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
অসীম মল্লিক জানান, হরিণ, ময়ূরসহ যেসব প্রাণীর লাইসেন্স দেওয়া হয়, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে সেগুলোর লাইসেন্সের জন্য সুযোগ দেওয়া হবে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলাও হবে।
এর আগে ২০১৩ সালের দিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের জায়গা ভাড়া নিয়ে নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যানের ভেতরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়।
চিড়িয়াখানাটি সিটি করপোরেশন থেকে নামমাত্র মূল্যে ইজারা নিয়েছিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ২ নম্বর প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান দুলালের শ্যালক সেলিম। পরে তার কাছ থেকে মাহবুবুর রহমান দুলাল এটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তখন থেকে এই চিড়িয়াখানাতে বিভিন্ন প্রাণীকে খাঁচায় বন্দি করে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন রাইড স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসার প্রসার ঘটানো হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তারা গাঢাকা দেন এবং চিড়িয়াখানাটির দায়িত্ব নেন একই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুন।
সম্প্রতি চিড়িয়াখানার ভেতরে থাকা একটি ভালুকের পায়ে পচন ধরে দুর্গন্ধ ছড়ালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নজরে আসে ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের।
সবশেষ গত মঙ্গলবার বিকেলে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা চিড়িয়াখানাটি পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যার দিকে সিলগালা করেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চিড়িয়াখানাটিতে প্রাণীদের আটকে রাখা হয়েছিল। ফলে ৪৮টি দেশীয় প্রাণীর মধ্যে ২৭টি নিয়ে যাওয়া হয়।
কামরুজ্জামান মিন্টু/জেডএইচ/জিকেএস