জুলাই আন্দোলনে আহতের নামে সরকারি জমিতে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরিশাল
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে আহত একজনের নাম ব্যবহার করে বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমি দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিক দিয়ে সেখানে দোকানঘর তৈরি করা হচ্ছে। সেটি তত্ত্বাবধান করতে দেখা গেছে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে।

এর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি ইজারা নিয়ে ওই স্থানে ২২টি স্টল নির্মাণ করেছিলেন জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক (বর্তমানে কারাগারে) মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান। তাদের পারিবারিকভাবে পরিচালিত একটি এতিমখানা মার্কেট নামে স্টলগুলো নির্মিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২২ নভেম্বর সওজ ওই ২২টি স্টলসহ আশপাশের পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদের চার মাস পরে নতুন করে স্টল নির্মাণ করতে শুরু করেছেন কয়েকজন।

সরেজমিন দেখা গেছে, উচ্ছেদকৃত খালি জায়গার একাংশে কাঠের স্থাপনা নির্মাণ করছেন তিনজন শ্রমিক। সেই কাজের তদারকি করছেন দুজন ছাত্র। উচ্ছেদের খালি জায়গায় অস্থায়ী স্থাপনা করে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। এরমধ্যে একটিতে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সংস্থার বরিশাল শাখার অস্থায়ী কার্যালয়।

সেখানে কর্মরত একজন কাঠমিস্ত্রি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‌‘আমাদের মজুরিভিত্তিতে কাজে আনা হয়েছে। আগে এখানে ভোজনবিলাস রেস্টুরেন্ট ছিল। এখন শুনেছি সমন্বয়করা স্টল করছেন।’

আরেকজন বলেন, ‘সমন্বয়ক শাহেদ ভাই নিজেই স্টল ওঠাচ্ছেন বলে শুনেছি। তিনি হয়তো ইজারা নিয়েছেন।’

সড়ক ও জনপথের জমিতে স্থাপনা নির্মাণে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে স্বীকার করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক শাহেদুল ইসলাম শাহেদ।

তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি আমাদের আহত একজন ওখানে বসে ব্যবসা করবেন। ওটা যখন আবার সিটির প্রয়োজন হবে, প্রশাসন আসবে; তখনই ছেড়ে দেবে। এটা দখলে নেওয়ার কিছু নেই। এটা দখল কে বলছে? এটা দখল হয় কীভাবে? প্রশাসন যখন নক করবে তখনই দিয়ে দেবে।’

এ বিষয়ে সওজ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে রূপাতলী সমাজসেবা অফিসের সামনে আমাদের জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখানে কাউকে নতুন করে ইজারা দেওয়া হয়নি। কেউ স্থাপনা নির্মাণ করছেন কিনা তা লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। উচ্ছেদ হওয়া জমিতে পুনরায় ঘর তোলা হলে উচ্ছেদ করা হবে।

শাওন খান/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।