মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা আদায়, ডিবির দুই এসআই ক্লোজড

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী এলাকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন (৪০)। তাকে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। তাকে মারধর ও পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে এক লাখ ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মানিকদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আমির হোসেন পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের দুই সদস্য দেলুয়ার হোসেন ও ইসমাইলকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী আমির হোসেনের অভিযোগ, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মানিকদি এলাকার মুদির দোকানে যান ছয়জন ডিবি পুলিশ। এদের মধ্য ডিবি উপপরিদর্শক (এসআই) দেলুয়ার হোসেন ও এসআই ইসমাইলকে তিনি চিনতে পারেন। এসময় দুজন আমির হোসেনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাদক ব্যবসার কথা বলে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন। কুলিয়ারচর এলাকার স্ট্রিল ব্রিজে নিয়ে থামানো হয় গাড়িটি। ঘটনার সময় তাকে বলা হয়, তুই মাদক ব্যবসা করিস। তোর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে। তবে পাঁচ লাখ টাকা দিলে ছেড়ে দেবো। টাকা না দিলে তোকে ক্রসফায়ারও করতে পারি। ডিবির এসব কথা শুনে ভয় পেয়ে যান আমির হোসেন। তারপর তাকে গাড়িতে নিয়ে কুলিয়ারচর এলাকার বিভিন্ন স্থানে যান তারা।
একপর্যায়ে আমির হোসেন বাধ্য হয়ে ফোনে ঘটনাটি পরিবারকে জানান। পরিবারের সদস্যরা ঘটনা শুনে ধারদেনা করে এক লাখ ৯৩ হাজার টাকা জোগাড় করেন। টাকা পেয়ে আমির হোসেনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিবির এসআই দেলুয়ার। তিনি বলেন, আমির হোসেন মাদক ব্যবসায় জড়িত এমন অভিযোগ আছে। ঘটনার দিন তার কাছে মাদক না পেলে আমরা তাকে ছেড়ে দিই। টাকা নেওয়ার কথা বিষয়টি মিথ্যা।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত দুই ডিবি সদস্যকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজীবুল হাসান/এসআর/জেআইএম