ভোলায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে পাপন চন্দ্র দাস (১৫) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরের দিকে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
নিহত পাপন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দড়ি চাঁদপুর গ্রামের সাহেস্তা কান্দি এলাকার মড়ন চন্দ্র দাসের ছেলে ও স্থানীয় শম্ভুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ওই বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো তার।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় লিটন চন্দ্রের ট্রলার নিয়ে উপজেলার গুড়িন্দা বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে যায় নিহত পাপানসহ তিনজন। নদীতে জাল টানার সময় জালে পেঁচিয়ে হঠাৎ ট্রলার থেকে পরে যায় পাপন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাব্বত খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহতের পরিবার থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ইলিশের অভয়াশ্রমের কারণে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু মৎস্য বিভাগ নিয়মিত অভিযান না চালানোয় পাপন নামে ওই কিশোর মাছ শিকার করতে গিয়ে নিহত হয়।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেবের বক্তব্যের জন্য তার সরকারি ও ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এমএন/এএসএম