দৌলতদিয়ায় যাত্রী-যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই ভোগান্তি

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ফলে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ঘাটে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও ভোগান্তি নাই দৌলতদিয়ায়। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে লঞ্চ ও ফেরি যোগে পদ্মা নদী পারি দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে নেমে যাত্রীরা যাত্রীবাহী পরিবহন, মাহেন্দ্র ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে চড়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
এ সময় যাত্রীবাহী পরিহনের পাশাপাশি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল যোগেও মানুষ বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে ঘাটে যানজট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো সরাসরি উঠতে পারছে ফেরিতে।
যাত্রীরা বলেন, ভালোভাবে বাড়িতে যেতে পারছি। তবে একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছে। কিন্তু কোনো ভোগান্তি নাই। ঈদের পর এভাবে ভোগান্তি ছাড়া আমরা কর্মস্থলে ফিরতে চাই।
বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৭ ফেরি ও ২২টি লঞ্চ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই ভোগান্তি। এ রুটে ছোট-বড় মিলে ১৭ ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লে সব কয়টি ফেরি চালানো হবে। আশা করছি এবার গত কয়েক বছরের মত ভোগান্তি ছাড়াই ঘরমুখো ও কর্মস্থলগামী যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে পারবো।
রুবেলুর রহমান/আরএইচ/এএসএম