আজ থেকে ৯ দিন বন্ধ কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দর

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে যাচ্ছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দর। এতে করে শুক্রবার (২৮ মার্চ) থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই দুটি বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন কড়ইতলী-গোবরাকুড়া বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ। তিনি বলেন, ঈদের আগে পরে মিলিয়ে ৯ দিন স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে ফটক বন্ধ করা হয়। ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়াসহ অন্য কোনো সমস্যা না হলে ঈদের পর আমদানি আবারও শুরু হবে।
সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ আরও বলেন, দীর্ঘদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরে কয়লা আমদানি শুরু হয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলতি বছরের ২৭ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে ২৪ হাজার ৩০০ টন কয়লা আমদানি হয়। এরমধ্যে ২৭ মার্চ ১১৯ ট্রাকে ১ হাজার ৪১৭ টন কয়লা এসেছে।
বকড়ইতলী-গোবরাকুড়া আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার অপু বলেন, বিভিন্ন সময় নানা জটিলতার কারণে কয়লা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। এতে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে নিয়মিত কয়লা আসায় স্থলবন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে। ঈদের পর আরও বেশি পরিমাণ কয়লা আমদানি করা হবে।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে কড়ইতলী ও ১৯৯৭ সালে গোবরাকুড়া শুল্ক স্টেশনের মধ্য দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়। স্থলবন্দর দুটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত একটি মামলার কারণে কয়লা আমদানি বন্ধ ছিল। তবে মাঝে আদালতের নির্দেশনা পাওয়ায় কিছুদিন কয়লা আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।
২০২৩ সালের ১১ মার্চ পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। ২০২২ এর শুরু থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত থেমে থেমে বিভিন্ন সময় ভারত থেকে ৬৯ হাজার ৬০০ টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ভারত থেকে মাত্র ৯৬৪ টন কয়লা আমদানি হয়। এরপর আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
৪ ডিসেম্বর দুই স্থলবন্দর দিয়ে ৮ ট্রাকে ৯৬ টন কয়লা বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্যদিয়ে আবারও কার্যক্রম শুরু হয়। সেসময় থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০ ট্রাকে এক হাজার ৮০ টন কয়লা প্রবেশের পর হঠাৎ রপ্তানি বন্ধ রাখে ভারতীয়রা। একমাস পর চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দুই স্থলবন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হয়। এদিন বিকেলে দুই বন্দর দিয়ে ১৮ ট্রাকে ২১৬ টন কয়লা প্রবেশ করে। এরপর থেকে নিয়মিত কয়লা আমদানি-রপ্তানি চলছে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/জেডএইচ/জিকেএস