মৌলভীবাজারে ৮০ শতাংশ হোটেল-মোটেল আগাম বুকিং

এবারের ঈদের রেকর্ড ছুটিতে যাচ্ছে দেশ। টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটিতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে মৌলভীবাজারের ব্যাপকসংখ্যক পর্যটক আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে।
জানা গেছে, পুরো জেলায় শতাধিক পর্যটন স্পট থাকলেও দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসুদের প্রথম পছন্দ শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা। এই দুই উপজেলাসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পাঁচ তারকা মানের রিসোর্টসহ দেড় শতাধিক রিসোর্ট, ইকো কটেজ, হোটেল, মোটেল। যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ আগাম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের রাধানগর এলাকার শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী তানভিরুল আরেফিন লিংকন বলেন, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মূলত পর্যটন মৌসুম। এবছর মার্চে রোজা থাকায় রিসোর্ট, কটেজগুলো একেবারে ফাঁকা ছিল। ফলে লোকসানে পড়ে পর্যটন ব্যবসা। তবে ঈদে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের রিসোর্টের পুরোটাই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। আমরা পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত রয়েছি।
নির্জন নেচার হাইড আউট রিসোর্টের ব্যবস্থাপক দুর্জয় দেববর্মা বলেন, অনলাইনে রিসোর্টের প্রায় ৭০ শতাংশ বুকিং কনফার্ম হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি। অন্যবারের চেয়ে এবার ভালো সাড়া পাচ্ছি।
রাধানগর পর্যটন কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সামছুল হক বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে এবার ভালো ব্যবসা হবে। তবে মৌলভীবাজারে পর্যটকদের আগমনের জন্য বিশেষ ট্রেনের দাবি করছি। বিশেষ ট্রেন হলে পর্যটক আরও বড়বে।
শ্রীমঙ্গল আবাসন সেবা সংস্থার যুগ্ম আহ্বায়ক ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমদ বলেন, কোনো উৎসব বা সরকারি লম্বা ছুটিতে মানুষ ঘুরতে বের হয়। এটার সঙ্গে পর্যটন শিল্পের বিকাশের সম্পর্ক রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ এটা অনেকটা মৌসুমি ব্যবসার মতো। তবে কিছুটা প্রভাব তো পড়বেই। এবারের ঈদের ছুটি বেশ লম্বা। আর এই লম্বা ছুটির কারণে মানুষ ঘুরে বেড়ানোর সময় পাবে। অন্যদিকে ভারতের ভিসা বন্ধ, সাজেক ভ্রমণে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফলে দেশের সমৃদ্ধ পর্যটন স্থান শ্রীমঙ্গল তথা মৌলভীবাজারে পর্যটকদের সমাগম হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ঈদে পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে ডিউটি তদারকি করা হবে। ট্যুরিস্ট পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
ওমর ফারুক নাঈম/এএইচ/জিকেএস