পাটুরিয়ায় যাত্রীদের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে তেমন ভিড় না থাকায় স্বস্তিতেই ঘরে ফিরতে পারছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ছোট গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসের চাপ বাড়তে থাকে। লঞ্চেও যাত্রীদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সিরিয়াল মতো সব যানবাহন পার হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার ঈদে ঘরমুখো মানুষ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে হয়ে বাড়ি ফেরেন। এবারের ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পয়েন্টের ৩, ৪ ও ৫ নম্বরসহ সব কয়েকটি পন্টুন প্রস্তুত করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত যে কয়েকটি পন্টুন আছে, সবকটিতে ফেরি লোড-আনলোড হবে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৭টি ফেরি ও ৩৩ লঞ্চ নিয়োজিত থাকবে।
ঘাটে পার হতে আসা যাত্রী মো. সফিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ঢাকার বাবুবাজার এলাকায় পেন্টিং ব্যবসা করি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবো বলে আগেভাগেই বাড়ি যাচ্ছি। গতবছর ঈদের আগে বাড়ি যাইতে খুব কষ্ট হয়েছিল। এজন্য এবার আগেভাগেই বাড়ি যাচ্ছি।’
ফরিদপুরের মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মিরপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। মিরপুরেই স্ত্রী-সন্তানসহ থাকি। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করবো বলে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। তবে ঘাটে তেমন ভিড় নেই। এজন্য একটু স্বস্তিতে যেতে পারছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, ঘাটে সকাল থেকে কোনো গাড়ির চাপ ছিল না। এখনো ফেরি বসে আছে গাড়ির অভাবে। ঈদযাত্রার জন্য আমাদের মোট ১৭টি ফেরি সচল আছে।
মো. সজল আলী/এসআর/জেআইএম